
দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হচ্ছে আগামী বুধবার। এটি ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হবে। সেই সঙ্গে আন্দামান সাগর থেকে সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। আর এই তথ্য পাওয়া গেছে উইন্ডি পূর্বাভাস মানচিত্র থেকে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাসের তিনটি তারিখ জানিয়েছিল।
উইন্ডির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৯ নভেম্বরই দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে। তবে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে লঘুচাপের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যাবে মঙ্গলবার বিকালের শেষ দিকে। এটি দ্রুত ঘনীভূত হয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হবে। এরপর সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে বঙ্গোসাগরে অবস্থান করবে।
এদিকে সোমবার (২৭ নভেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে। এর আগে গত ২৩ নভেম্বর আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের পূর্বাভাসে বলেছিল, ২৬ নভেম্বর লঘুচাপ সৃষ্টি হবে। গত ২৬ নভেম্বরে আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে। যা পরবর্তীতে আরও ঘনীভূত হতে পারে।
সতর্কবার্তায় দেওয়া ৪৮ ঘণ্টা সময় মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে। তার আগেই সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে বলেছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টর মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টি হবে। দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার বিষয়ে তিনটি তারিখ দিলেও সর্বশেষ ৪৮ ঘণ্টা সময়ের সাথে উইন্ডির পূর্বাভাসের মিল রয়েছে। আর লঘুচাপ যে স্থানে সৃষ্টি হবে তার দিকে সার্বক্ষণিক নজর রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করবে। রাত ও দিনের তাপমাত্রার তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না। অপরদিকে পাঁচ দিনের বর্ধিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ের শেষ দিকে অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
সোমবার রাজধানীতে বাতাসের গতি ছিল উত্তর উত্তরপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার। রাজধানীর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩১ দশমিক ৪ এবং ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ডে ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।