
মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও সাংবাদিককে মারধর-নাজেহালের অপরাধে নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বাঁশখালীর সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
আজ (বুধবার) দুপুরে তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে বিচারক জুয়েল দেব এর আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদী বাঁশখালী নির্বাচন অফিসার হারুন মোল্লা। তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে আমি মামলা দায়ের করেছি, আদালতকে সম্মান দেখিয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন, আদালত তকে জামিন দিয়েছে।
ইসির আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ ছালাম স্বাক্ষরিক চিঠিতে এক বলা হয়, ‘মোস্তাফিজুর রহমান ৩০ নভেম্বর ব্যাপক শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমার সময় তার সঙ্গীদের নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রশ্ন করলে সাংবাদিককে গালিগালাজ ও মারধর করে মাটিতে ফেলে দেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।’
পরে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি মোস্তাফিজুর রহমানের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দেয়। তাতে বলা হয়, মোস্তাফিজুর রহমান বেশি লোকজন নিয়ে এসে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে সাংবাদিককে ‘মারধর ও হুমকির’ বিষয়টি অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়নি। সে কারণে মামলায় সাংবাদিকদের মারধরের অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি জানিয়ে বাদী হারুন মোল্লা জানান, নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই মামলা করেন।