
এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনালে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা বাণিজ্যে চরম ভোগান্তি নেমে এসেছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে চট্টগ্রামে খাবার হোটেলগুলোতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষকে খাবার সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। বন্দরনগরীর অনেক হোটেল ও খাবারের দোকানে সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
এমনিতে গত এক মাস ধরে বন্দরনগরীতে গ্যাস সঙ্কট লেগে আছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত থেকে পুরোপুরি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষ সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এদিকে গ্যাস সঙ্কট, সড়কে সিএনজিচালিত গাড়ি সঙ্কট। এই সুযোগে ভাড়া বাড়তি নিচ্ছেন চালকরা। গ্যাস না থাকায় চট্টগ্রামের কাফকো, সিইউএফএল, শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ গ্যাসনির্ভর সব শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। গ্যাস নেই ৬৮টি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনসহ কয়েক হাজার বাণিজ্যিক এবং ৬ লাখেরও বেশি আবাসিক গ্রাহকের সংযোগে।
জানা গেছে, ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। যার কারণে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সংশ্লিষ্টরা বলেন, এলএনজি টার্মিনালের সঙ্গে পাইপলাইনের সংযোগ দেয়ার চেষ্টা চলছে। তবে এতে কতক্ষণ সময় লাগবে তা নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
নগরীর কাজীর দেউরি ক্যাফে লায়লার মালিক মো. শামসুজ্জামান বলেন, শুক্রবার অফিস-আদালত বন্ধ থাকে। এজন্য কম মানুষের নাস্তার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু গ্যাস না থাকায় মানুষ লাইন ধরেছেন। দুপুরের জন্য সিলিন্ডিারের গ্যাস দিয়ে রান্না করা হচ্ছে।
কেজিডিসিএলর বিপণণ বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক (দক্ষিণ) প্রকৌশলী অনুপম দত্ত বলেন, এলএনজি টার্মিনালে টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ আছে। মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, দ্রুততার সঙ্গে এ সঙ্কটের সমাধান হবে।
এদিকে শুক্রবার ছুটির দিনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে হোটেলগুলোতে খাবার কিনতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। সুযোগ বুঝে অসাধু দোকানিরা খাবারের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।