
পাইলটিং লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) সঙ্গে রেল প্রকল্পের পাথরবাহী ওয়াগনের সংঘর্ষ পর বন্ধ হয়ে যাওয়া ট্রেন চলাচল দীর্ঘ সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে আট ঘণ্টা দেরিতে আজ মঙ্গলবার ভোর চারটায় পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন কক্সবাজার ছেড়ে গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আতিকুর রহমান বলেন, ‘রামু-ইসলামাবাদ পয়েন্টের মাঝামাঝি স্থানে দুর্ঘটনার কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুট সাময়িক বন্ধ ছিল। পরে রেললাইন স্বাভাবিক হলে নির্ধারিত সময়ের ৮ ঘণ্টা পর কক্সবাজার স্টেশন ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পর্যটক এক্সপ্রেস।’ গতকাল সোমবার রাত আটটায় কক্সবাজার ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল এই ট্রেনের। যাত্রায় দেরি হওয়ায় অনেক পর্যটক তীব্র শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ঢাকা যেতে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট নেন ঢাকার শনির আখড়ার বাসিন্দা কাউসার আলম বলেন, ‘পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলাম। ঢাকায় ফিরতে গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে কক্সবাজার রেলস্টেশনে যাই। তখনই শুনি ট্রেন ছাড়ছে না। শুরু হয় অপেক্ষা। সারা রাত প্রচণ্ড ঠান্ডায় কষ্ট পেয়েছি। অবশেষে ভোর চারটায় সেই অপেক্ষার অবসান ঘটে।’
এর আগে, সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে রামু-ইসলামাবাদ পয়েন্টের মাঝামাঝি স্থানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের একটি পাথরবাহী কোচের সঙ্গে পাইলটিং ইঞ্জিনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সহকারী লোকোমাস্টার আহত হন। সেই দুর্ঘটনার কারণে কক্সবাজার থেকে পর্যটক এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময় রাত ৮টায় স্টেশন ছাড়তে পারেনি।