
চট্টগ্রাম মহানগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও হকারদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ম্যাজিষ্ট্রেটকে বাধা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ৩টি গাড়িতে ভাঙচুর করে হকাররা।
সংঘর্ষে ৩ পুলিশসহ কয়েকজন হকার আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে পুলিশের গুলিতে আহত ১জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে এ সংঘর্ষে শুরু হলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর বিকেল পৌণে ৫ দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় নিউ মার্কেট রিয়াজউদ্দিন বাজার, জিপিও ও কোতোয়ালী এলাকায় যানবাহন চলাচল দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়।

সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশে সড়কের উপর থেকে হকারদের উচ্ছেদ করতে গেলে এ সংঘর্ষ লেগে যায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিন তীব্র যানজট লেগে থাকাা নগরীর ব্যস্ততম নিউমার্কেট থেকে স্টেশন রোড এলাকা থেকে হকারদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল ৮ ফেব্রুয়ারি। সেখানে যেন পুনরায় হকার বসতে না পারে সেজন্য সিটি করপোরেশনের (চসিক) পক্ষে প্রতিদিনই তদারকি করা হচ্ছিল।
আজ সোমবার বিকেলে ঐ এলাকায় গিয়ে বেশ কিছু ফুটপাত ও সড়ক দখল হয়ে যাওয়ায় সেগুলো উচ্ছেদ করে চসিকের গাড়িতে তোলা হচ্ছিল। এ সময় নিউমার্কেট এলাকায় জড়ো হন হকাররা। পরে মিছিল নিয়ে এসে তারা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কর্মকর্তাদের উচ্ছেদ অভিযানে বাঁধা দেন। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে হকাররা মারমুখী হয়ে হামলা শুরু করে।

এ সময় আত্মরক্ষায় চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কর্মকর্তারা সেখানকার গণশৌচাগারে অবস্থান নেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে হকারদের ধাওয়া দিলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এরপর পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে হকাররা রিয়াজুদ্দিন বাজারের বিভিন্ন অলি-গলিতে ঢুকে সেখান থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
কোতোয়ালী থানার ওসি ওবায়দুল হক জানান- হকারদের উচ্ছেদ করতে গেলে তারা ম্যাজিষ্ট্রেট ও দায়িত্বরত পুলিশের উপর হামলা চালায়। ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। হকারদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে তিন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশের বিপুল পরিমাণ সদস্য ঘটনাস্থলে আছেন।’