
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ছবি তোলা কথা বলে মূলত দামী ডিজিটাল ক্যামেরা ছিনতাইয়ের জন্য চট্টগ্রামে কলেজ ছাত্র ও ফটোগ্রাফার শাওন বড়ুয়া পরিকল্পিভাবে ডেকে নিয়ে খুন করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই খুনের সাথে জড়িত ৫ জনকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ৫ আসামীকে গ্রেপ্তারে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (উত্তর) পঙ্কজ দত্ত।
তিনি জানান, শাওন বড়ুয়ার ডিজিটাল ক্যামেরা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে পাঁচ জনের এই চক্র। পরে পরিকল্পানা মতো তারা শাওনকে নির্জনে নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ক্যামেরাসহ অন্যন্য মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু ভুল করে ফেলে যায় শাওনের মোবাইল ফোনটি। মূলত এই ফোনের সূত্র ধরেনই মঙ্গবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে খুনের সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হল-ইমতিয়াজ আলম মুরাদ (২১), আশহাদুল ইসলাম ইমন (২৪), মো. তৌহিদুল আলম (২৩), মো. বাহার (২২), মো. আলমগীর (৩০)।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নগরীর চাঁন্দগাও থানার অনন্যা আবাসিক এলাকার একটি সড়কের থেকে পুলিশ শাওন বড়য়ার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে। খুনিরা বিয়ে ও গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ছবি তোলার কথা বলে শাওনের সাথে চুক্তি করে। বিকাশে ৫০০ টা অগ্রিম পাঠায়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থলে পাওয়া একটি মোবাইল ফোনের সূত্রে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে নামে পুলিশ। মোবাইলের কলরেকর্ড যাচাই করে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। প্রথমে বাহির সিগন্যাল এলাকা থেকে ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইমনের তথ্যে বাকিদের নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে বাহারের কাছ থেকে শাওনের ছিনতাই যাওয়া ক্যামেরা ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, বিয়ে-অনুষ্ঠানে যারা ফটোগ্রাফি করে তারাই ওদের টার্গেট। বিভিন্ন মাধ্যমে নম্বর সংগ্রহ করে নামে-বেনামে ফটোগ্রাফারদের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়াই তাদের কাজ। যে নম্বরগুলো ব্যবহার করে ছিনতাইয়ের ফাঁদ পাতা হয় তার বেশিরভাগেই ছিনতাই করা মোবাইল। ঘটনাস্থলে পাওয়া অপরাধীদের মোবাইল ফোনে আরো অনেক ফটোগ্রাফারের নম্বর পাওয়া গেছে। যার কারণে আঁচ করা যাচ্ছে তাদের সঙ্গে আরো অনেকে জড়িত আছে-তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।