
চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানাধীন দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় জাহিদুল আলম মিন্টু (৩৮) এক আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ বলছে পারিবারিক হতাশা থেকে মিন্টু আত্মহত্যা করেছেন।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরের দুই নম্বর সাইট এলাকার নিজের বাসায় আত্মহত্যা করেন তিনি। মরদেহ উদ্ধার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার পরিদর্শক (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার।
জানা গেছে, মিন্টু ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য এম এ লতিফের অনুসারী ছিলেন। সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এমপি লতিফের সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মিন্টুর স্ত্রীও এমপির নারী সংগঠন নারী শক্তির সাথে যুক্ত আছেন। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু চাচ্ছিলেন তার স্ত্রী যেন লতিফের নারী শক্তি সংগঠন ছেড়ে দেয়।
বন্দর থানার ওসি মনজুর কাদের মজুমদার জানান, জাহিদুল আলম মিন্টু নিজের বাসাতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে যান। পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, তিনি কয়েক লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত ছিলেন। এছাড়া পারিবারিক বিষয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। চিরকুটেও তিনি ঋণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেছেন এবং ঋণগ্রস্থ ছাড়াও আরো একাধিক সমস্যা থাকলে তাও দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।