
পুলিশের চোখ এডিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৪০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী শো ডাউন করেছে ইসলাম ছাত্রশিবির। নগরীর প্রাণকেন্দ্র আন্দরকিল্লা থেকে বিশাল প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালি বের করলেও পুলিশ বলেছে এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না।
সিএমপি অধ্যাদেশ অনুযায়ী মেট্টোপলিটন এলাকায় যে কোন সভা সমাবেশ করতে পুর্ব থেকে পুলিশের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু শিবিরের এ সমাবেশ ও র্যালী সম্পর্কে পুলিশ প্রশাসন অবগত নয় বলে জানান কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন।
জানাগেছে, ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে এক সভায় ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠা পায়। সে হিসেবে অাজ দলটির আজ ৪০ তম প্রতিষ্ঠা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল ৮টায় নগরীর কোতয়ালী থানার আন্দরকিল্লা থেকে একটি র্যালি বের করে শিবিরের নেতা কর্মীরা। এতে কয়েক শ শিবির কর্মী অংশ নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল পৌনে ৮টা থেকে আন্দারকিল্লা মোড়ে হঠাৎ করে লোকজন জড়ো হতে থাকে। ঠিক ৮টায় একজন নারায়ে তাকবির শ্লোগান দিলে চারদিক থেকে কয়েক শ যুবক শিবিরের ব্যানার নিয়ে মিছিল শুরু করে। দীর্ঘদিন পর প্রকাশে শিবিরের শো ডাউন দেখে কিছু সময়ের জন্য ওই এলাকায় আতংক সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে শিবিরের নেতাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
তবে শিবিরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- চট্টগ্রাম মহানগরী (উত্তর) শিবিরের বর্ণাঢ্য র্যালী পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, হাজারো প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও ছাত্রশিবির জাতিকে সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নাগরিক উপহার দিতে লক্ষ্যপানে অবিরাম গতিতে এগিয়ে যাবে।
নগর উত্তর সেক্রেটারী এস কে সিকদার’র পরিচালনায় এতো আরো বক্তব্য রাখেন-শিবির নেতা সালেহ রায়হান, কামাল কুতুবী, রিদোয়ান জিসান, জসিম মানিক, এস এম আমান, কুতুবুর রহমান, আহসান উল্লাহ প্রমুখ।
শিবির নেতৃবৃন্দ বিবেক বর্জিত কাজ বাদ দিয়ে প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে যথার্থ ভূমিকা পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানান। শিবিরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী র্যালীটি নগরীর আন্দরকিল্লা মোড় থেকে শুরু হয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চন্দনপুরা এলাকায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় র্যালীতে অংশগ্রহনকারী ছাত্ররা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন প্রদর্শন করে প্রতিষ্ঠা দিবস সফল করার জন্য জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।