ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

‘ছাত্রলীগ আর কর্মচারীদের চাপে নিয়োগ দিতে বাধ্য হয়েছি’ চবি’র সাবেক ভিসি

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

শেষ কার্যদিবসে নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিতর্কের মাঝেই নতুন ভাবে আলোচনায় এসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড.শিরীণ আখতার। তাকে চাপ প্রয়োগ করে এবং জিম্মি করে জোরপূর্বক এসব নিয়োগপত্রে সই নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ কাজ করেছেন বলে জানান তিনি।

গত মঙ্গলবার শিরীণ আখতারের জায়গায় চবির ১৯তম উপাচার্য হিসেবে মো. আবু তাহেরকে নিয়োগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। নিয়োগের এ প্রজ্ঞাপন জারির পরও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে ৩৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে বিতর্কিত হন উপাচার্য শিরীণ। নিয়োগ পাওয়া অধিকাংশ ব্যক্তি শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী কিংবা স্থানীয় ফতেপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা যায়।

অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
অধ্যাপক শিরীণ আখতার বলেন, গত মঙ্গলবার শেষ কর্মদিবসে আমি একটি নিয়োগের নির্বাচনী বোর্ডে অংশ নিতে গিয়েছিলাম। প্রজ্ঞাপন আসার খবর পেয়ে আমি তাতে অংশ নিইনি। পরে দুপুর ১২টায় কিছু কর্মচারী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমার কক্ষে (উপাচার্যের দপ্তর) প্রবেশ করেন। বিশৃঙ্খলা হতে পারে, এমন আশঙ্কায় আমি কার্যালয় ছেড়ে বাসভবনে চলে যাই। তবে ৩০ মিনিটের মধ্যেই সেখানেও অনেকে গিয়ে ভিড় করেন। সেখানে গিয়ে আমাকে ঘিরে ধরেন তারা। আমি দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলাম, তবে তারা আমার শোবার ঘরে ঢুকে জিম্মি করে নিয়োগের সই নিয়েছে। আমি সই করতে চাইনি। পরে বাধ্য হয়ে করেছি। রেজিস্ট্রারও বাধ্য হয়ে করেছেন। আমি তাদের সবুজ কালি দিয়ে সই করেছি। সব মিলিয়ে ১৫ থেকে ১৬টি নিয়োগে আমি সই করেছি। এর বেশি কী করে হলো, আমি জানি না। এতগুলো নিয়োগ আমি দিইনি। এরপরও আমার অজান্তে অনেক কিছু হতে পারে। সই নকল হতে পারে।’

শিরীণ আখতার আরও বলেন, আমি অপমানিত বোধ করছি। আমি টাকা নিয়ে কোনো নিয়োগ দিইনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু লোক যে চাকরির জন্য এভাবে হন্যে হয়ে যাবে, তা আমি ভাবতেও পারিনি। এক ঘণ্টা আমি পাগলের মতো ছিলাম। আমার সঙ্গের লোকজনও আমাকে বাঁচাতে পারেনি। আমি প্রক্টরকে ফোন করেছিলাম, তারা প্রক্টরকেও আটকে রেখেছে।’

এ বিষয়ে জানতে চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে.এম. নুর আহমদকে ফোন করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ম্যাডামের কল পেয়ে আমি সেখানে গিয়ে তেমন ভিড় দেখতে পাইনি, কিছুক্ষণ পরেই তিনি গাড়িতে করে ওইখান থেকে চলে যান।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print