ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মি আনোয়ারার ৪ যুবক : নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবী

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

দালালের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মি হয়ে পড়েছেন আনোয়ারার উপজেলার ৪ যুবক। এখন তাদের মুক্তিপণ হিসেবে দাবী করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অন্যথায় হত্যা করার হুমকি দেয়া হচ্ছে।

এজন্য প্রতিনিয়ত তাদের অমানুষিক নির্যাতনও করা হচ্ছে। পরিবারের কাছে নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুক্তিপণ না দিলে তাদের বাঁচিয়ে রাখা হবে না।

এ নিয়ে অভিভাবকরা আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

৪ ভুক্তভোগীরা হলেন, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার জাবেদুর রহিম (১৯), নাঈম উদ্দিন (২০), মো. ওয়াসিম (২২) ও বোরহান উদ্দিন (১৯)।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম ১৮ লাখ টাকা নিয়ে ৪ যুবককে গত মাসের ১৯ তারিখ লিবিয়ায় পাঠান। দুবাই ও মিশর হয়ে ১৫ দিন পর তারা লিবিয়ায় পৌছায়। সেখানে তারা জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার মিজানুর রহমানের তত্বাবধানে ছিলেন। কিছুদিন পর মিজান তাদর মেডিকেল ভিসায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিয়ে গিয়ে মিশরের একটি দালাল চক্রের হাতে বিক্রি করে দেন। এরপর পাসপোর্ট ও ভিসা ছিনিয়ে নেন। সেখানে তাদের হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে সেই ভিডিও স্বজনদের মুঠোফোনে পাঠান এবং প্রতিজন থেকে ১০ লাখ টাকা করে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। টাকা পরিশোধের জন্যে ইসলামী ব্যাংক চকরিয়া শাখার একটি ব্যাংক হিসাব নম্বরও পাঠানো হয় বলে জানা যায়। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে যুবকদের মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হচ্ছ।

পরিবারের সদস্যরা জানান, লিবিয়ায় তাদের মাসখানেক কিছু কাজ দেওয়ার পর সর্বশেষ গত সোমবার (২৫ মার্চ) তাদের বন্দি করে রাখে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) পরিবার ও স্বজনদের কাছে কয়েকটি নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ ও অডিও বার্তা পাঠায় দালাল চক্ররা। ভিডিও বার্তায় জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেন এবং এসব টাকা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংকের চকরিয়া শাখার একটি হিসাব নম্বরও দেন তারা। মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হলে জীবন দিতে হবে চার জিম্মিকে। এ জন্য বেঁধে দেওয়া হয় সময়ও। টাকা না দিলে একজন-একজন করে লাশ পাঠাবে বলে জানান স্বজনদের জানিয়েছে দালালরা।

ঘটনার শিকার জাবেদুর রহিমের পিতা আবদুর রহিম বলেন, ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করে ছেলেকে লিবিয়া পাঠিয়েছি ভালো চাকরির আশায়। কিন্তু ওরা চাকরি না দিয়ে উল্টো আমার ছেলেকে জিম্মি করে আরো ১০ লাখ টাকা দাবি করতেছে। এখন আমরা তো অসহায়। আমার ছেলেকে কিভাবে বাঁচাবো?

ভুক্তভোগী বোরহান উদ্দিনের বড় ভাই শাহাবুদ্দিন বলেন, প্রতিদিন তাদের নির্যাতনের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ পাঠাচ্ছে। প্রতিজনের জন্য ১ লাখ টাকা করে পাঠাতে বলেন। বাকি টাকা কয়েক দিনের মধ্যে পাঠাতে বলেন। না হলে একজন একজন করে হত্যা করবে বলেছে। আমরা খুবই অসহায় এতো টাকা কিভাবে যোগার করবো!

আনোয়ারা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার চার যুবককে লিবিয়ায় নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা দেখা করে অভিযোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য সব রকমের সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print