ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

নগরীতে বস্তাবন্দি শিশুর লাশ : চিপস ও চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা : খুনি গ্রেপ্তার

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রামে ৭ বছরের শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত মীর হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নারগিস ওরফে সুখি (৭) নামে শিশুটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে পাষন্ড মীর হোসেন হোসেন।

সুখির মরদেহ উদ্ধারের কয়েকঘণ্টার মধ্যে আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোরে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন বউ বাজার পুলিশ বিট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ঘটনার কথা স্বীকার করে পুলিশকে জানিয়েছেন, সে শিশু সুখিকে চিপস ও চকলেট কিনে অপহরণ করে নিয়ে পাহাড়ের নিচে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটায়। পরে ভ্যানগাড়িতে করে সুখির মরদেহ বস্তাবন্দি করে ফলমন্ডির এলাকায় ডাস্টবিনে ফেলে রেখে চলে যায়।

আজ দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)র আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, গতকাল রাতে বস্তাবন্দি শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের বিশেষ টিম এর রহস্য উদঘাটন ও আসামী ধরতে মাঠে নামে। রুদ্ধশ্বাস অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি মীর হোসেনকে (৩৪) আজ ভোরে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন বউ বাজার পুলিশ বিট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার কথা স্বীকার করে। পরে ঘটনায় ব্যবহৃত এতটি ভ্যানগাড়ী, একটি পাটের বস্তা ও একটি টুপি উদ্ধার করা হয়।’

গ্রেপ্তার মীর হোসেন কুমিল্লার মৃত গরীব হোসেনের ছেলে। বর্তমানে নগরীর বাকলিয়া বউ বাজার এলাকার বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, শিশু সুখি ও তার মা বিলকিস বেগম গত রবিবার (৩১ মার্চ) রাত ৯টার দিক আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় পরিত্যক্ত কাগজ-বোতল সংগ্রহ করে। পরে সুখিকে রেখে তার মা রাত ১টার দিকে আন্দরকিল্লা মসজিদের উত্তর গেটে যান। রাত দেড়টার দিকে এসে রেখে যাওয়া স্থানে এসে দেখেন সুখি নাই। আশপাশের এলাকাসহ সম্ভাব্য সব জায়গা খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি।

‘পরদিন সোমবার রাতে পুলিশ কোতোয়ালী থানার বিআরটিসি ফলমন্ডি এলাকায় ডাস্টবিন থেকে বস্তাবন্দি সুখির মরদেহ উদ্ধার করলে বিলকিস তার মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করে।

কোতোয়ালী থানার ওসি এস এম ওবায়দুল হক বলেন- প্রাথমিকভাবে আসামি মীর হোসেন সুখিকে অহরণ করে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে পুলিশক জানিয়েছে, সে রাতের বেলায় বিভিন্ন স্থান থেকে ভাঙ্গারী মালামাল সংগ্রহ করে পরে বিক্রি করে। ঘটনার দিন আব্দরকিল্লা এলাকায় সুখিকে চিপস ও চকলেট কিনে দিয়ে টাইগারপাস এলাকায় বেড়াতে যাওয়ার লোভ দেখায়। একপর্যায়ে তাকে রিকশা করে টাইগারপাস এলকায় পাহাড়ের নিচে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের মাধ্যমে হত্যা করে। পরে একটি ভ্যানগাড়িতে করে সুখির মরদেহ বস্তাবন্দি করে ফলমন্ডি এলাকায় ডাস্টবিনে রেখে চলে যায়।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print