
বান্দরবানের থানচিতে পুলিশের সাথে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে থানচি বাজার সংলগ্ন এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়। এসময় থানচি থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমন সন্ত্রাসীরা। পুলিশ পাল্টা জবাব দিতে অন্তত ৫০০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছে বলে জানায়।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীমউদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আমাদের গোলাগুলি চলছে। অন্ধকারের মধ্যে বুঝতেছি না যে সন্ত্রাসীরা কারা।’
থানচি বাজারের ২০০ থেকে ৩০০ গজের ভেতরেই রয়েছে থানচি থানা, বিজিবির একটি ক্যাম্প এবং থানচি বাজারের শেষ মাথায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট।
থানচি বাজার কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো সাংবাদিকদের জানান, বান্দরবানের থানচিতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর কয়েক দফা গোলাগুলি হয়েছে।
রাত ৯টার দিকে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন বলেন, কেএনএফ-এর সদস্যদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে রাতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় অস্ত্রের মুখে সোনালী ব্যাংক ডাকাতি করে নগদ দেড় কোটি টাকা এবং পুলিশ ও আনসার সদস্যের ১০টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যরা। এ সময় তারা নামাজ চলাকালীন মসজিদের ভেতর থেকে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকেও অপহরণ করে। পরদিন প্রশাসন থেকে বলা হয় সন্ত্রাসীরা কোন টাকা লুট করতে পারেনি। সব টাকা ব্যাংকের ভল্টে অক্ষত ছিল।
অন্যদিকে, গতকাল বুধবার দুপুরে থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখায় হামলা চালিয়ে ডাকাতি করে সন্ত্রাসীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করেছে বলে জানায় র্যাব-৭ এর কর্মকর্তারা। যদিও বিভিন্ন সুত্র থেকে বলা হচ্ছে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দেয়া ১৫ লাখ মুক্তিপণ পেয়েই সন্ত্রাসীরা ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি দিয়েছে।