চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও চন্দনাইশ উপজেলায় পৃথক অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় ৭ বসতঘর ও ৫টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে অন্তত ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চন্দনাইশে আগুন নেভাতে গিয়ে এক ফায়ার কর্মীসহ ২ জন আহত হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১ মে) রাতে এসব আগুনের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ফটিকছড়ির রোসাংগিরি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডস্থ বিল্লা মুন্সীর বাড়িতে গ্যাসের চুলা থেকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। তার আগেই সাত পরিবারের বসত ঘরের সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আনুমানিক ১৫লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ক্ষতিগ্রস্তদের।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন— মো. আলী আকবর, মো. জমির, মোহরম আলী, মোহাম্মদ আরিফ, জরিনা বেগম, নাছিমা আক্তার এবং মঞ্জুরা খাতুন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম উদ্দীন জানান- আমার চাচাতো ভাইদের ঘরে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। মো. আরিফের ঘরে গ্যাসের চুলায় চা দিয়ে বাইরে চলে যায়। পরে চুলার আগুন থেকেই হঠাৎ এ দুর্ঘটনা ঘটে। সাত পরিবারের ঘরের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ডলার ত্রিপুরা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নির্বাপণ করে আমাদের টিম। গ্যাসের চুলা থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বলে জানতে পারি। ৭ পরিবারের বসতঘর পুড়েছে। এ ঘটনায় আনুমানিক ১৫লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

এদিকে গতকাল সকালে চন্দনাইশে আগুনে পাঁচটি দোকান পুড়ে গেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে স্থানীয় নজরুল ইসলাম (২৮), মো. মারুফ (১৯) ও ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী আহত হন।
উপজেলার বরমা ধামাইরহাটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস স্থানীয়দের সহায়তায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে আমিনুল হকের ওষুধের দোকান, মো. আবছারের কুলিংকর্নার ও মুরগির দোকান, মো. আজিজের আজিজ স্টোর, উত্তমের উত্তম স্টোর ও নাছির উদ্দীনের নাছির পোল্ট্রি ফার্ম পুড়ে যায়। এতে অন্তত ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তসাপেক্ষে জানা যাবে।