ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিষয়ে বেনসুদা যখন আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেন তখন কোহেন তার সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করেন এবং বৈঠক করেন বলে প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
২০২১ সালে শুরু হওয়া এই তদন্ত গত সপ্তাহে শেষ হয়েছিল। এরপর বেনসুদার উত্তরসূরি বর্তমান প্রসিকিউটর করিম খান ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানা চান।
আইসিসির বিরুদ্ধে কোহেন ব্যক্তিগতভাবে এই হস্তক্ষেপ করা শুরু করেন যখন তিনি মোসাদের পরিচালক ছিলেন। একটি ইসরাইলি সূত্র জানিয়েছে, বেনসুদার বিরুদ্ধে কোহেনের তৎপরতা চালানোর পেছনে মোসাদের উদ্দেশ্য ছিল তাকে দিয়ে আপস করানো বা তাকে এমন একজন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা যিনি ইসরাইলের দাবিতে সহযোগিতা করবেন।
আরও পড়ুন:রাফায় চালানো ভয়াবহ হামলাকে ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’ বললেন নেতানিয়াহু!
অন্য একটি ইসরাইলি সূত্র জানিয়েছে, এ বিষয়ে কোহেন নেতানিয়াহুর অনানুষ্ঠানিক বার্তা প্রেরক হিসেবে কাজ করেছে। কোহেন, যিনি সেই সময়ে নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একজন ছিলেন ইসরাইলে নিজ ক্ষমতাবলে একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে মোসাদকে জড়ানোর মাধ্যমে প্রায় দশক ধরে আদালতকে হেয় প্রতিপন্ন করছেন।
চারটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে বেনসুদা আইসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি ছোট দলকে কোহেনের বিষয়ে অবহিত করেছিলেন।
এই সূত্রগুলির মধ্যে তিনটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, বেনসুদা আইসিসিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে মুখ খুলেছিল। সূত্রগুলো জানিয়েছে, আইসিসির ফিলিস্তিনি ইস্যুতে তদন্ত না করার জন্য তার ওপর যে কোহেন চাপ প্রয়োগ করেছে তা বেনসুদা প্রকাশ করেছে।
আইসিসি কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, বেনসুদাকে বলা হয়েছিল- আপনার উচিত আমাদেরকে সাহায্য করা এবং আমাদের আপনার যত্ন নিতে দেয়া। আপনি নিশ্চয় এমন কোনো পরিস্থিতিতে পড়তে চান না, যাতে আপনার বা আপনার পরিবারের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করতে হয়।
আরও পড়ুন:আইসিসির প্রধান আইনজীবী করিম খান কেন আলোচনায়?
গার্ডিয়ানের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের কাছে পাঠানো প্রশ্নগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ইসরাইল রাষ্ট্রকে আঘাত করার জন্য এমনটা করা হয়েছে।
আর কোহেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোন জবাব দেননি। অন্যদিকে বেনসুদা মন্তব্য করা থেকে বিরত ছিলেন।