চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের ২৩ জন নেতা-কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তাদের তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এরপর তাদের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় চবি কর্তৃপক্ষ।
সিসিটিভি ফুটেজসহ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই শেষে বুধবার ২৩ জনকে চিহ্নিত করে শোকজ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে অভিযুক্ত ২৩ জন ছাত্রের পরিবারের কাছেও পাঠানো হয়েছে নোটিশ।
শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও তদন্ত কমিটির সহকারী সচিব মোহাম্মদ রিফাত রহমান।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়ার পর ২৩ জনকে শোকজ করেছি। একসঙ্গে তাদের হল, ডিপার্টমেন্ট ও পরিবারের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে নিয়ে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তারা কারণ ব্যাখ্যা করবে। পরে তাদের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এখানে দুটি ঘটনা ঘটেছে। প্রথমটি ল্যাবরেটরি স্কুলের সামনে দ্বিতীয়টি আব্দুর রব হলের সামনে। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী আমাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে তদন্তের স্বার্থে শোকজ দেওয়া ২৩ জনের নাম গোপন রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ২১ মে দুপুর ২টায় চবি শাখা ছাত্রলীগের দুই উপ গ্রুপ- চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও বিজয় গ্রুপের মধ্যে ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় বিজয়ের কর্মীরা মোটরসাইকেল প্রতীক ও সিএফসির কর্মীরা ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে বিজয় গ্রুপের অনুসারী সালাহ উদ্দিনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে সিএফসির কর্মীরা। এ ঘটনার জেরে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় অন্তত পাঁচ জন আহত হন।
ঘটনা তদন্তে সহকারী প্রক্টর এনামুল হককে আহ্বায়ক, সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রিফাত রহমানকে সদস্য সচিব ও সহকারী প্রক্টর তানভীর হাসানকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।