চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় হেঁটে খাল পার হতে গিয়ে স্রোতে তলিয়ে গেছেন নারী ও শিশুসহ দুজন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টা করেও তাদের সন্ধান পায়নি। সোমবার (১০ জুন) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের শিয়ালবুক্কা গ্রামে ‘শিয়ালবুক্ক খালে’ ওই ঘটনা ঘটে।তলিয়ে যাওয়া দুজন হলেন- রোকেয়া বেগম (৫০) ও তার নাতি মোহাম্মদ ইসমাইল (৮)।
জানা গেছে, রোকেয়া বেগম শিয়ালবুক্কা গ্রামের আব্দুল জলিলের স্ত্রী। ইসমাইল তার মেয়ের ঘরের নাতি। রাঙামাটি থেকে সে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। সোমবার দুপুরে শিয়ালবুক্কা গ্রাম থেকে খালের অপর প্রান্তে খীলাটিলা গ্রামে নিজেদের গরুর খামারে যাবার জন্য নানি ও নাতি রওনা দিয়েছিলেন। হেঁটে পার হওয়ার জন্য খালে নামার পর প্রচণ্ড স্রোতে তারা তলিয়ে যায়।
খবর পেয়ে রাঙামাটি থেকে দুপুর ২টার দিকে সেখানে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের ইনচার্জ নুরুল হুদা বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার উজানে ইছামতী নদীর সংযোগস্থল পর্যন্ত তল্লাশি করেছি। তাদের পাওয়া যায়নি। সকালে রাঙ্গুনিয়ায় বৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে খালে প্রচণ্ড স্রোত। এখানে একজন মানুষের মাথা পর্যন্ত উচ্চতা থেকেও বেশি পরিমাণে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এজন্য তল্লাশি করেও তাদের পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি আরও জানান, আমরা জানতে পেরেছি, ওই মহিলা তার নাতিকে নিয়ে খাল পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। খালটা বড়জোড় ২৫-৩০ হাত হবে। স্থানীয় লোকজন নিয়মিত হেঁটেই সেটা পার হন। এজন্য ওই মহিলাও তার নাতিকে নিয়ে খালে নেমেছিলেন। কিন্তু পানির উচ্চতা এবং স্রোতের তীব্রতা সম্ভবত তিনি বুঝতে পারেননি। খালে নামার পর প্রচণ্ড স্রোতে মহিলা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। তখন নাতিও তার হাত থেকে ছুটে যায়। এরপর পাহাড়ি ঢলের স্রোত তাদের ভাসিয়ে নেয় জানান নুরুল হুদা।
