জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিসহ ২৬ জনের ফাঁসির দড়ি টানা আলোচিত সেই ‘জল্লাদ’ শাহজাহান ভুইয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাদ আছর তার নিজ গ্রামে নরসিংদীর পলাশের সাধুর বাজার ফুটবল খেলার মাঠে জানাযার পর ইছাখালী গ্রামে তার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
জল্লাদ শাহজাহানের বোন ফিরোজা জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের কারণে গতকাল লাশ আনা সম্ভব হয়নি। আজ ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর আড়াইটায় লাশ বাড়িতে নিয়ে আসি।
নিহতের স্বজনরা জানান, সাভারের হেমায়েতপুরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন জল্লাদ শাহজাহান। সেখানে সোমবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তার বুকে ব্যথা ওঠে। পরে বাড়ির মালিক রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে আসলে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, আলোচিত ‘জল্লাদ’ শাহজাহান দীর্ঘ ৩২ বছর ছয়মাস দুইদিন কারাভোগের পর গত বছরের ১৮ জুন বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
জল্লাদ শাহজাহানের পুরো নাম শাহজাহান ভূঁইয়া। তিনি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে। ৭৪ বছর বয়সী শাহজাহান কারাভোগ শেষে মুক্তি পাওয়ার পর এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস সংসার কর পর তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
শাহজাহান ভূইয়া ১৯৯১ সালে গ্রেপ্তার হন। তাকে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে রাখা হয়। কারাগারে ভালো কাজ ও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত
কারাগারের তথ্যানুযায়ী, শাহজাহান ২০০১ সাল থেকে মুক্তির আগ পর্যন্ত ২৬ জনের ফাঁসির দড়ি টেনেছেন। যার মধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন ছয়জন। এছাড়া চারজন যুদ্ধাপরাধী, দুজন জেএমবি সদস্য ও অন্যান্য আলোচিত মামলার ১৪ জন।