পশ্চিম গাজা শহরের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাস গ্রুপের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহের পরিবারের ১৩ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবারের (২৫ জুন) এই হামলায় হানিয়ার এক বোনও রয়েছেন। মঙ্গলবারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
চিকিৎসাসংক্রান্ত সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম গাজা শহরের বিচ শরণার্থী শিবিরে তাদের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হানিয়াহ পরিবারের অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে।
হামাসের ভাষ্যমতে, তার চার নাতি-নাতনিও (তিন মেয়ে ও এক ছেলে) নিহত হয়।
হানিয়াহর তিন ছেলেকে গত ১০ এপ্রিলে বিমান হামলা করে হত্যা করে ইসরায়েল।
এ বছরের শুরুর দিকে ইসরায়েলি পুলিশ হানিয়ার এক বোনকে গ্রেফতার করে, যিনি তেল শেভায় বসবাসরত ইসরায়েলি নাগরিক। হামাস নেতার তিন বোন দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটিতে বাস করেন এবং আরব ইসরায়েলিদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
ওই বছরের শেষের দিকে হানিয়া ইসরায়েলকে অনুরোধ করেন, তার বোনদের গাজায় তার ছেলের বিয়েতে অংশ নেয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু ইসরায়েল সেটা প্রত্যাখান করে।
অন্য দিকে আল-দারাজের আশেপাশে, পূর্ব গাজা শহরের এবং সমুদ্র সৈকতে শরণার্থী শিবিরের আশ্রয়কেন্দ্র ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে। এইসব হামলায় দুটি স্কুলকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এতে বেশ কিছু প্রাণহানি ঘটে।
এদিকে, বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলের সদস্যরা কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকার আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে তিন শিশু এবং একজন মহিলাসহ পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত লাখ ছাড়িয়েছে।