ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

কৃষকের কিডনি চুরির অভিযোগে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রবিউল হোসেন ও স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

আজ রবিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান জিনিয়ার আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়।

আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রবিউল হোসেন, ছেলে ডা. রাজিব হোসেন, স্ত্রী খালেদা বেগম। আসামিরা মীরসরাই উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও নগরীর খুলশী থানার চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স স্টাফ কোয়াটারে বসবাস করেন।

মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে এক কৃষকের কিডনি চুরির অভিযোগে দুই চিকিৎসকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী মো. আবু বক্কর গ্রামে কৃষিকাজ ও পশু লালন-পালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ডা. রাজিব হোসেনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ২০১২ সালে চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স স্টাফ কোয়াটারে বাসায় নিয়ে গিয়ে ডা. রবিউলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় সিঙ্গাপুরে ডা. রবিউলের চিকিৎসা করার জন্য তাঁদের একজন অ্যাটেন্টডেন্ট প্রয়োজনের কথা জানানো হয় আবু বক্করকে। মানবিক দিক বিবেচনা করে তখন আবু বক্কর তাঁদের সঙ্গে অ্যাটেন্টডেন্ট হিসেবে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার প্রস্তাবে রাজি হলে পাসপোর্ট ও ভিসাসহ যাবতীয় কাগজপত্র তৈরি করে ২০১২ সালে ১০ মার্চ ডা. রবিউল হোসেন, তাঁর স্ত্রী খালেদা বেগম, ডা. রাজীব হোসেনসহ তিনি সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে পৌঁছে ডা. রবিউলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পরে ডা. রাজিব হোসেন মামলার বাদীকে জানান যে, তাঁর বাবার অবস্থা ভালো না। তাঁকে সুস্থ করতে হলে যেকোনো মানুষ থেকে কিছু টিস্যু দিতে হবে। এ সময় টিস্যু দিলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না বলে আশ্বস্ত করে বাদীকে টিস্যু দেওয়ার অনুরোধ করেন ডা. রাজিব।

মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, কৃষক বক্কর মানবিক বিবেচনায় টিস্যু দিতে রাজি হন। একই বছরের ৩ এপ্রিল বক্করকে অপারেশন করা হয়। ৯ এপ্রিল বক্করকে হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ দেওয়া হয়। ১৫ এপ্রিল বক্করকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাঁকে আসামিদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সে চাকরি দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফিজিক্যাল আনফিট দেখিয়ে বক্করকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকে বক্করের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। গত ২০২৪ সালের ২১ মে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি আলট্রাসনোগ্রাফি করান। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তাঁকে চিকিৎসক জানান, তাঁর ডান কিডনি নেই। সার্জারির মাধ্যমে তাঁর ডান কিডনি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কিডনি সরিয়ে ফেলার বিষয়টি জানার পর বক্কর আসামিদের কাছে গেলে তাঁকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাউকে বিষয়টি না জানাতে অনুরোধ করা হয়। তবে কয়েকবার টাকা দেওয়ার তারিখ দেওয়ার পরে টাকা দেয়নি আসামিরা। গত ১৩ জুন বক্কর আসামিদের বাসায় গেলে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে কোনো টাকা দিবে না বলে জানিয়ে বক্করকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print