ইন্টারনেট সংযোগে ধীরগতি এবং ফেসবুক বন্ধ থাকায় লোকসানে ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ীরা। এ খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের তথ্যমতে, ১০ দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসার প্রচারে ফেসবুকনির্ভর হওয়ায় বিপাকে এ খাতের কয়েক লাখ উদ্যোক্তা।
ফেসবুক পেইজ ‘ফ্যাশন ফ্লোর’ এর মাধ্যমে পোশাক বিক্রি করেন শিমুল। দৈনিক বিক্রি প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার। তবে ইন্টারনেট পুরোপুরি সচল না হওয়ায় এবং ফেসবুক বন্ধ থাকায় গত ১৩ দিন ধরে তার বিক্রি প্রায় শূণ্যের কোটায়। এখন পর্যন্ত তার লোকসান ছাড়িয়েছে লাখ টাকার বেশি।
ফ্যাশন ফ্লোরের উদ্যোক্তা উম্মে হাবিবা শিমুল বলেন, আমরা ক্যাটালগ পাচ্ছি না, ছবি দিতে পারছি না, আনতেও পারছি না বা বের হতেও পারছিলাম না যে দোকান থেকে সরাসরি নিয়ে আসব। ডেইলি আমাদের ডেলিভারি থাকে ১০ থেকে ১৫ হাজার। এই অবস্থার ফলে আমরা ক্রেতাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারছি না, হোল সেলারদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারছি না। ফলে আমরা ক্ষতির দিকেই আছি। ১৩ দিনে আমাদের প্রায় ১ থেকে দেড় লাখ টাকা ক্ষতি হয়ে গেছে।’
দেশে কোভিড পরবর্তী কয়েক বছরে অনলাইননির্ভর কেনাকাটা বেড়েছে কয়েকগুণ। অনলাইনে ব্যবসা করছেন এমন উদ্যোক্তার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ লাখ, কর্মী ১৫ লাখের বেশি।
ই-ক্যাবের তথ্য বলছে, ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাহত হওয়ায় দারাজ, চাল-ডালের মতো বড় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ফেসবুকনির্ভর ছোট উদ্যোক্তারাও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সব মিলিয়ে এ খাতে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ই-ক্যাব।
ই-ক্যাবের সহসভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন বলেন, ‘ই-কমার্স রিলেটেড অনেক প্রকৃতির সার্ভিসের যে প্লাটফর্ম সেখানে প্রতিদিন আরও ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার লোকসান আছে। সব মিলায়ে যদি বলি তাহলে এটা ১৪০ থেকে ১৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি।’
অনলাইননির্ভর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের টিকিয়ে রাখতে সরকারি প্রণোদনা ও বিভিন্ন নীতি সহায়তা চেয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।