সীমিত আয়ের মানুষের গলা সমান খরচ করতে হচ্ছে শুধু বাসা ভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধে। সরকারি হিসাবেও যা এখন রেকর্ড পর্যায়ে। এমন পরিস্থিতিতে নাকানিচুবানি অবস্থা বহু পরিবারের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্য পণ্যের উচ্চ মূল্যস্ফীতি উস্কে দিচ্ছে অন্যসব জিনিসপত্রের দাম।
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন রংপুরের এসএম শাহীন। খণ্ডকালীন কাজ করেন আরও দুটি প্রতিষ্ঠানে। বছর দশেক আগে স্ত্রীকে নিয়ে পা রাখেন রাজধানীতে। বাসা ভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির বিলে তখন খরচ হতো চার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ থেকে ১৯ হাজারে, অর্থাৎ এক দশকে খরচ বেড়েছে চারগুণ। মাস শেষে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে বেতন পান, তার ৭৫ শতাংশই চলে যায় খাদ্য বহির্ভূত খাতে। ফলে একরকম বেকায়দায় তিনি।
এস এম শাহীনের মতো সাধ আর সাধ্যের মাঝে মেলবন্ধন খুঁজে পাচ্ছেন না নোমান সিদ্দিকীও। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সাবলেট বাসায় থেকেও হিমশিম অবস্থা তার। তাই পরিবারের সদস্যদের বিনোদনের জন্য বাড়তি খরচ একরকম বিলাসিতাই বটে। মধ্যবিত্তের একটি বড় অংশেরই দশাই এখন এমন।
বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাসা ভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুৎ, পানি ও সবধরনের জ্বালানিতে মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশ ছুঁইছুঁই। তিনবছর আগেও এই হার ছিল ২ শতাংশের কম। সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি এখন বিনোদন খাতে, যা ১৪ শতাংশের বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণেই বাড়ছে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি।
সবশেষ অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক সাত তিন শতাংশ হলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল সাড়ে ১০ শতাংশের বেশি।