বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বৃহস্পতিবারের (৩১ জুলাই) জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। চলমান আন্দোলনের মধ্যেই ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোস’ নামে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীদের একাংশ। বুধবার (৩১ জুলাই) রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশিদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের রাস্তায় ধরে মোবাইল চেক, হয়রানির ও নির্বিচার গ্রেপ্তারের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রতিদিনের চিত্র। এ ছাড়াও আগামীর বাংলাদেশ গড়ার কারিগর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলীর ওপর ক্যাম্পাসের ভেতরে হামলা করা হয়েছে।
এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শ্রদ্ধেয় শিক্ষিকা শেহরীন আমিন ও নুসরাত জাহান চৌধুরীর গায়েও হাত তোলা হয়েছে। আমরা এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একটি স্বাধীন দেশে এমন নজিরবিহীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।
এমন ভয়ানক অন্ধকার পরিস্থিতিতে সারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা-মামলা ও শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে, জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে এবং ছাত্রসমাজের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই কর্মসূচি ঘোষণা করছে।
কর্মসূচি পালনে করণীয়
১- নির্যাতনের ভয়ংকর দিন-রাতগুলোর স্মৃতিচারণ;
২- শহীদ ও আহতদের নিয়ে পরিবার এবং সহপাঠীদের স্মৃতিচারণ;
৩- চিত্রাংকন/গ্রাফিতি, দেওয়াল লিখন, ফেস্টুন তৈরি, ডিজিটাল পোট্রের্ট তৈরি প্রভৃতি।
৪- ক্যাম্পাস ও এলাকা ভিত্তিক শিক্ষক-ছাত্র-জনতা জমায়েত হয়ে গণহত্যা, গণপ্রেপ্তার, হামলা-মামলা, গুম-খুন ও শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ জানানো এবং সাংস্কৃতিক আয়োজন (মৌন মিছিল/ মশাল মিছিল /পথনাটক/মঞ্চনাটক/প্রতিবাদী গানের আসর/মাইম) ইত্যাদি কর্মসূচি আয়োজন করা।
শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী, ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি পালনে সর্বাত্মক অংশ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করাও হয়েছে।