শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। শনিবার (০৩ আগস্ট) এক্সে এক বার্তা জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক এ আহ্বান জানান।
বার্তায় তিনি লেখেন, মিছিল ও ইন্টারনেট বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকা, নিরাপত্তা বাহিনী এবং সরকারি গোষ্ঠীগুলো সহিংসতায় নতুন করে আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় তিনি সহিংসতা প্রতিরোধ করে এবং জবাবদিহিতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার তৈরি হলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দেন ফলকার টুর্ক। চিঠিতে তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, হতাহতের ঘটনা, নির্বিচার গ্রেপ্তার ও নির্যাতনে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ভবিষ্যতে এ ধরনের নির্যাতন রোধ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সভা–সমাবেশের অধিকার সমুন্নত রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সামগ্রিক ব্যবস্থার সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা চিঠির জবাবে সরকারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত ২৯ জুলাই ফলকার টুর্ককে চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির সুযোগ নেয়া তৃতীয় পক্ষের সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পার্থক্যের বিষয়ে পরিষ্কার হতে হবে। বর্তমানে ঘটনার বিচারিক ও প্রশাসনিক তদন্ত চলছে। এ সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন ও এর সংশ্লিষ্টদের বাংলাদেশ নিয়ে চূড়ান্ত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত, তা না হলে সেটি আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমসহ মানুষের ধারণা অন্যদিকে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারকে তদন্তের আগে একপক্ষীয় প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কোনো বিবৃতি দেয়া থেকেও বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়।