নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈষম্যবিরোধ ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়েছে। রোববার (৪ আগস্ট) সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।
এসময় রাজধানীর শাহবাগ ও সাইন্সল্যাবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে বিক্ষোভে উত্তাল আফতাবনগর, উত্তরা, ধানমণ্ডি ও জাতীয় প্রেসক্লাব। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ চলছে। রাজধানীতে ৯ জনসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কমপক্ষে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার বাইরে ১৯ জেলায় পুলিশসহ অন্তত ৯১ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই হলেন শিক্ষার্থী।
এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীও আন্দোলনকারীদের হামলায় নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ ২৩, লক্ষ্মীপুরে ১০, ফেনীতে ৮, নরসিংদীতে ৬, কিশোরগঞ্জে ৪, মুন্সীগঞ্জে ৪, রংপুরে ৫, সিলেটে ৬, মাগুরায় ৪, পাবনায় ৩, বগুড়ায় ৪, কুমিল্লায় ৪, চট্টগ্রামে ১. বরিশালে ২, শেরপুরে ২, ভোলায় ১, জয়পুরহাটে ১, সাভারে ১, হবিগঞ্জে ১, কক্সবাজারে ১ জন, কেরানীগঞ্জ ১ জন রয়েছেন। তবে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ রোববার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশে অসহযোগ আন্দোলনের রূপরেখা তুলে ধরেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
এর আগে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে এই ঘোষণা দেয়া হয়। এই সমাবেশেই অসহযোগ আন্দোলনের রূপরেখা তুলে ধরা হয়।