ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা হারানোর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দেয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে যাওয়ার পর একাধিকবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে দেখা হয়েছে শেখ হাসিনার। এছাড়া ভারতীয় নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক কর্তাদের সঙ্গেও কথা হয়েছে তার।
এদিকে আজ রোববার (১১ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনা আমেরিকাকে সরাসরি দায়ী করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনা পদত্যাগের আগে জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দিতে চেয়েছিলেন তাতে তিনি এ বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন, তিনি আবার নিজের দেশে ফিরে যাবেন। তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগ বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, আবারও দাঁড়াবে। তাঁর দলের বহু নেতাকে হত্যা ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার খবরে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত।
গত ৬ আগস্ট একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন নিউজ১৮ তার প্রতিবেদনে জানায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের ইন্ধন ছিল। যা শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের দিকে নিয়ে গেছে। সূত্র আরও জানায়, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ডেভিড বার্গম্যান, পিনাকি ভট্টাচার্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনসহ নত্রে নিউজের ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য ছড়ায়।