বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নগরীর বিভিন্ন থানায় হামলা ভাঙচুর ও অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটে। লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২৭৫ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) পর্যন্ত স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে এবং অন্যান্য উৎস থেকে এসব অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে এসএমজি, চায়না রাইফেল, বিডি রাইফেল, শটগান, পিস্তল এবং গ্যাসগান।
আজ বুধবার র্যাব-৭ এর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-৭ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয় উল্লাসের প্রাক্কালে দুর্বৃত্তরা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট চালায়। লুটপাটের ঘটনায় থানাসমূহ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাদি লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়।
লুটপাট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ চট্টগ্রাম মহানগরের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। একইসঙ্গে সচেতন নাগরিকদের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
র্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফ-উল আলম বলেন, থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সরঞ্জামাদি উদ্ধারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। এতে সাধারণ নাগরিকরা সাড়া দেন। স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে এবং অন্যান্য উৎস থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ২১টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২৭৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- এসএমজি, চায়না রাইফেল, বিডি রাইফেল, শর্ট গান, পিস্তল এবং গ্যাস গান। উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনারের (হেড কোয়ার্টার) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
‘উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপপুলিশ কমিশনারের (হেডকোয়ার্টার্স) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’