সাভারের আশুলিয়ায় আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের তিনটি তৈরি পোশাক কারখানায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া ইউনিয়নের টঙ্গাবাড়ি এলাকার আলিফ ভিলেজ লিমিটেডের আলিফ এ্যাম্বোডারি ভিলেজ লিমিটেড, লাম মিম এ্যাপারেলন্স লিমিটেড, লাম মিম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড।
আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের আশুলিয়া জোনের ম্যানেজার এইচআর অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স মো. রেফাই সিদ্দিক, বলেন রোববার সকাল থেকেই তাদের তিনটি তৈরি পোশাক কারখানায় প্রায় ১৫ শতাধিক শ্রমিকরা প্রবেশ করে উৎপাদন শুরু করেন। পরে সকাল দশটার দিকে প্রায় দুই থেকে তিনশ লোক মুখে মাক্স পড়ে লাঠি সোটা নিয়ে হঠাৎ করে তাদের তিনটি কারখানায় এক যোগে হামলা করে। এ সময় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা কারখানাগুলোর মুল গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর করে। কারখানার গ্লাস, ডিজিটাল মেশিন, কম্পিউটার, ফায়ার কন্ট্রোল প্যানেল, বিদ্যুতের সাব স্টেশন, মেডিক্যাল সরঞ্জামাদি, সিসি টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, গাছের গার্ডেনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর করে। এ সময় ভাঙচুরে বাধা দেয়ায় কারখানার নিরাপত্তা কর্মীসহ ২০ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে কারখানা থেকে মূল্যবান পোশাক, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল, মেশিন পাট লুটপাট করে পালিয়ে যায়।
এ সময় দুর্বৃত্তদের হামলা ও ভাঙচুরে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে কারখানা থেকে দৌড়ে বেড়িয়ে যান। কয়েক ঘণ্টাব্যাপি হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটে কারখানার মালিক, শ্রমিক ও নিরাপত্তা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারখানার যে ডিজিটাল মেশিন দিয়ে এ্যাম্বোডায়রি ও পিন্টিং করা হয় সেই মেশিনগুলো ভেঙে ফেলায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে কারখানা তিনটির। কারখানার উৎপাদন চালু করতে মেশিনগুলো আনতে ছয় থেকে আট মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে তিনি।
কারখানায় হামলা ভাঙচুরে প্রায় চল্লিশ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন। পোশাক কারখানা তিনটিতে এমন ভয়াবহ হামলা ও ভাঙচুরের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জড়িত সন্দেহ কাউকে আটক করতে পারেনি।
এবিষয়ে আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আকতার হোসেন রানা বলেন, এমন পরিস্থিতিতে তিনি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন এমন ভাঙচুর ও লুটপাট কারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য তিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।