নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সংরক্ষিত এলাকা ও নদীতে যৌথ অগ্নিনির্বাপণ মহড়া চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানের নির্দেশনায় এবং সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর আহমেদ আমিন আব্দুল্লাহর তত্ত্বাবধানে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
যাতে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মান অনুযায়ী কার্যকর সমন্বয় ও বাস্তব প্রস্তুতি নিশ্চিত করা যায়।
মহড়ায় অংশ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ফায়ার ফাইটিং ইউনিট, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিএনএস ঈসা খানের ফায়ার টিম, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের অগ্নিনির্বাপণকারী দল এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পোর্ট ইউনিট।
মহড়ার প্রথম পর্যায়ে, খোলা আগুন থেকে রাসায়নিকবাহী একটি কনটেইনারে অগ্নিকাণ্ডের অনুকল্পে ফায়ার ইউনিটগুলো দ্রুত পানি ও ফোম প্রয়োগের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দ্বিতীয় পর্যায়ে, জেটিতে অবস্থানরত একটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের অনুকল্পে মহড়া পরিচালিত হয়। এতে অংশ নেয় পোর্ট ফায়ার সার্ভিস ইউনিট, বিএনএস ঈসা খানের ফায়ার টিম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পোর্ট ইউনিট এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের অগ্নি নির্বাপণে সক্ষম টাগবোট। সব ইউনিটের সমন্বিত প্রচেষ্টায় অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মহড়ায় অফিসার-ইন-চার্জের দায়িত্ব পালন করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (নিরাপত্তা-প্রশাসন) ও পিএফএসও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ সাজ্জাদুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক (নিরাপত্তা-অপারেশন) মেজর আনিস-উজ-জামান, বিএনএস ঈসা খানের ফায়ার টিমের পক্ষ থেকে লে. ইয়াসমিন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পোর্ট ইউনিটের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোনেম বিল্লাহ এবং পোর্ট ফায়ার শাখার কর্মকর্তা খলিলুর রহমান
মহড়া শেষে কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান এবং বন্দর এলাকায় অগ্নিনিরাপত্তা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া, ঝুঁকি মূল্যায়ন ও আন্তঃপ্রতিষ্ঠানিক সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্যিক স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাবলি আমাদের সতর্ক করছে। প্রস্তুতি, প্রশিক্ষণ ও পারস্পরিক সমন্বয়ই বড় বিপর্যয় রোধের একমাত্র উপায়।
