ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত না হলেও কি ডেঙ্গু হতে পারে, কী বলছেন চিকিৎসক

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

বর্ষা প্রায় শেষ হলেও তবুও টানা বৃষ্টি হচ্ছে। একইসঙ্গে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এ ঋতুর শুরুর দিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ না বাড়লেও সাম্প্রতিক গত বছরের মতোই ক্রমশ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলছে। তবে এ রোগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডেঙ্গু টেস্ট করতে হয়। তারপর সে অনুযায়ী চলে চিকিৎসা।

এদিকে অনেক সময় দেখা যায়, প্রাথমিকভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ থাকলেও টেস্ট করার পর ডেঙ্গু নেগেটিভ হয়। ফলে চিকিৎসায়ও অনেক বেগ পোহাতে হয়। পাশাপাশি রোগাীরাও দ্বিধায় পড়ে যান। এ অবস্থায় যেমন রোগ নির্ণয় করা জরুরি, একইসঙ্গে সঠিক চিকিৎসাও অতীব জরুরি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পরীক্ষায় ডেঙ্গু নেগেটিভ আসার পরও কি ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে? সম্প্রতি এ ব্যাপারে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. সাইফ হোসেন খান। এবার তাহলে এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

ডেঙ্গু টেস্ট বা পরীক্ষা: ডেঙ্গু হয়েছে কিনা, এ নিয়ে যখন দ্বিধায় পড়েন তখন এ সংক্রান্ত কিছু পরীক্ষা দিয়ে থাকেন চিকিৎসক। এর মধ্যে কিছু পরীক্ষা ডেঙ্গু নিশ্চিত এবং কিছু পরীক্ষা ডেঙ্গুর জটিলতা শনাক্তের জন্য দেয়া হয়। ডেঙ্গু শনাক্তে রক্তের সিবিসি পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এ রোগের ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের জন্য দুই ধরনের পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে একটি NS1 Ag পরীক্ষা, অন্যটি অ্যান্ডিবডি পরীক্ষা। দুটি পরীক্ষাই মূলত ডেঙ্গু ভাইরাস নিশ্চিতকরণের জন্য কার্যকর। তবে কোনটি কখন করতে হবে, তা জ্বরের সময় বুঝে নির্দেশনা দিয়ে থাকেন চিকিৎসক।

যেসব কারণে ডেঙ্গু নেগেটিভ হয়: এ রোগের পরীক্ষার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত NS1 Ag. যা জ্বরের শুরুর দিকে পজিটিভ থাকে। বিপরীতে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা জ্বরের কিছুদিন পর পজিটিভ দেখায়। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় রোগীরা জ্বরের সময় নির্ধারণ করতে পারেন না বা মনে রাখতে পারেন না, এ জন্য টেস্ট নেগেটিভ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এছাড়া ডেঙ্গুর অনেক ধরনের প্রজাতি বা সেরোটাইপ রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সেরোটাইপে NS1 Ag টেস্ট নেগেটিভ এসে থাকে। আবার যেসব সেরোটাইপকে ডেঙ্গু টেস্ট শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এ ক্ষেত্রেও অনেক সময় নেগেটিভ রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা থাকে।

করণীয় কী: ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে রোগী এবং চিকিৎসক―দু’জনেরই মনে রাখতে হবে যে, পরীক্ষায় ডেঙ্গু নেগেটিভও আসতে পারে, আবার পজিটিভও আসতে। তবে নেগেটিভ এলে সন্দেহের তালিকা থেকে ডেঙ্গুকে বাদ দেয়া যাবে না। এ কারণে অনেকেই ভেবে থাকেন, পরবর্তীতে ডেঙ্গু পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। এমনটা ঠিক নয়। ডেঙ্গুর যেসব লক্ষণ, তা ছাড়াও কিছু ইনফেকশন বা রোগে একই ধরনের লক্ষণ থাকতে পারে। আর সেসব রোগের চিকিৎসাপদ্ধতি একদমই আলাদা। সেসব রোগ থেকে ডেঙ্গু আলাদাভাবে শনাক্ত করা জরুরি। তবে পরীক্ষায় যদি ডেঙ্গু নেগেটিভ আসে, তাহলে সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।

এদিকে ডেঙ্গু রোগ যদি আপনার সন্দেহের তালিকায় ওপরে থাকে, এমনকি পরীক্ষায় নেগেটিভ এলেও ডেঙ্গুর আশঙ্কা ধরে নিয়েই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। আবার রক্তের সিবিসিতে যদি প্লাটিলেট কমে যায় বা ঘনত্ব বেড়ে যায়, তাহলে এসবও ডেঙ্গু রোগ নির্দেশ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। লক্ষণ, উপসর্গ, পরীক্ষাসহ যাবতীয় সব বিবেচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসক। এ জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন থাকা জরুরি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print