
চট্টগ্রামের দক্ষিণ পশ্চিম বাকলিয়া থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্রী রাজীয়া সুলতানা নিশা অপহরণের ১৪ দিন পরও উদ্ধার হয়নি। নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এ স্কুল ছাত্রীকে গত ৭ ফেব্রুয়ারী জোরপূর্বক অপহরণ করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
তার পরিবারের দাবী বাকলিয়ার মাষ্টারপুল, বউবাজার খাজা হোটেল সংলগ্ন স্থান হতে মোঃ আলমগীর হোসেন এবং নুরুল আবছার জোড়পূর্বক সিএনজি টেক্সিতে উঠাতে চাইলে নিশা গড়িমসি করতে থাকে, তখন আশেপাশের মানুষ যাতে সন্দেহ না করে আলমগীরের বোন ভুট্টু কৌশলে টেক্সি থেকে নেমে মানুষকে বলতে থাকে রাজীয়া সুলতানা নিশা রাগ করে বাসায় যেতে চাইতেছে না, তাই জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অসৎ উদ্দিশ্য হাসিলের লক্ষ্যে নিশাকে অপহরণ করে বলে দাবি করেন তার বাবা।
স্কুল থেকে দীর্ঘ সময়পরও ফিরে না আসাতে প্রথমে ঘটনার দিন ০৭/০২/১৭ইং তারিখে বাকলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী নং-৩০৬ এবং পরে নিশার বাবা মোঃ নাছির উদ্দিন খালেদ বাদী হয়ে ১০/০২/১৭ ইং তারিখে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৩, নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ধারা-৭/৩০
আসামীরা হলেন- আলমগীর হোসেন, মোস্তাফা আক্তার ভুট্টু, নুরুল আবছার বাবুর্চি, নাছিমা বেগম (আলমগীরের মা) স্বামী : মোঃ নাছির উদ্দিন সর্ব সাং- পুঁইছড়ি, ৩ নং ওয়ার্ড জসীম মেম্বারের বাড়ি, থানা- বাঁশখালী। ও মোঃ আনছার, পিতা-আবু সৈয়দ সাবেক মেম্বার সাং- ছনুয়া, ১নং ওয়ার্ড, থানা- বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।
উল্লেখিত আসামীরা পরামর্শক্রমে ও সহায়তায় দক্ষিণ পশ্চিম বাকলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া নিশা অপহৃত হয় বলে দাবি করেন মামলার বাদী মোঃ নাছির উদ্দিন খালেদ। তবে পুলিশ বলছে এটি অপহরণ নয় প্রেম ঘটিত ঘটনা।
নিশা অপহরণ হওয়ার পর থেকেই তার মা বার বার মূর্ছা যেতে থাকলে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয় এবং বর্তমানে মানসিক ভারসম্যহীন অবস্থায় আছেন। রাজীয়া সুলতানা নিশার বাবা মামলার বাদী মোঃ নাছির উদ্দীন খালেদ মেয়ের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
জানাগেছে আসামী আবছার গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অন্যান্য আসামীরা গা ঢাকা দিয়েছে।
সুত্রে জানা যায়, কৌশল পাল্টিয়ে মূল আসামী আলমগীর এখন অপহৃত নিশাকে বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ইউনিয়নের মৌলাপাড়া পুঁইছড়ি, মদিনাসন মাদ্রাসা সংলগ্ন মোঃ আকবর, জাহাঙ্গীর ও জাকির হোসেন তত্ত্বাবধানে রেখেছে ।
এ ব্যাপারে ভিকটিমকে উদ্ধার করতে বাকলিয়া থানা হতে বাঁশখালী থানাকে গত ১২ ফেব্রুয়ারী তারিখে পত্র পাঠানো হলেও ১০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও বাঁশখালি পুলিশ কিশোরী স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদী নাছির উদ্দিন খালেদ।
এ ব্যাপারে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল মনছুর জানান, ঘটনাটি প্রেম ঘটিত। তদন্তে এসেছে মেয়েটি স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেছে। তার পরও নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হওয়ার পর আমরা ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি। ইতিপূর্বে আসামী নুরুল আবছারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রিমাণ্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বাকি আসামীদের গ্রেফতার এবং ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।