ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার এক স্কুলেই অন্তত ১৯৬ বার হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে শুহাদা আল-নুসিরাত স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনী সরাসরি ১৯৬ বার বিমান হামলা চালিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, সর্বশেষ হামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত নয়জন শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৫২ জন ফিলিস্তিনি।
মিডিয়া অফিস বলছে, দখলদার সেনাবাহিনী জানত যে, স্কুলে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ রয়েছে এবং এদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী। এরা সবাই ইসরায়েলি হামলায় তাদরে বাড়ি এবং আবাসিক এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তারপরও ইসরায়েলি বাহিনী এই নৃশংস হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, ওই স্কুলটি ‘কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার’ ছিল। আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, এই কমপ্লেক্সটি হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও তা পরিচালনা করতে ব্যবহার করছিল। সুনির্দিষ্ট বুদ্ধিমত্তার ভিত্তিতে সেনারা ওই স্কুলে আঘাত করেছে। তবে তারা নিজেদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। ইসরায়েলি বাহিনী আরও দাবি করেছে, তারা বেসামরিকদের ক্ষতি কমিয়ে আনতে “অনেক পদক্ষেপ” নিয়েছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজায় শান্তির সুযোগ তৈরি হয়েছে, কেননা সিনওয়ারকে ‘সমীকরণ থেকে সরানো হয়েছে’। তিনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াশিংটন ইসরায়েলি বন্দীদের দেশে ফিরিয়ে আনা, যুদ্ধের অবসান এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ লাঘবের দিকে “বেশি মনোযোগী”।
হামাস সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি এখন সুযোগ রয়েছে। চুক্তিটির শেষ পর্যায়ে পৌঁছাতে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল সিনওয়ার এবং এই সত্য যে তিনি আমাদের সঙ্গে নেই। সম্ভবত এটিই বাস্তবে এগিয়ে যাওয়ার এবং চুক্তিটি শেষ করার জন্য একটি সূচনা তৈরি করেছে।”