অবৈধভাবে ভারতের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মৎস্য আহরণের অভিযোগে নাবিকসহ বাংলাদেশী দুটি মাছ ধরার জাহাজ কে আটক করেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড। জাহাজ দুইটি নাম এফবি মেঘনা-৫ ও এফবি লায়লা-২।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারত সাগর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এর জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. জহিরুল হক। তিনি জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মিডিয়া কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে পারেন।
মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার মো. সুয়াইব বিকাশ জানান, মিডিয়ায় বলার মতো এখনো কোন ধরনের মেসেজ আমরা আমাদের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাইনি। তবে বিষয়টি শুনেছি। আশাকরি শিগগিরই জানাতে পারব।’
একই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশন অফিস সেক্রেটারি আবিদ হাসান বলেন, ‘এফ.ভি. লায়লা-২ ফিশিং জাহাজের মালিক সিদ্দিকুর রহমান। অপারেশন কোম্পানী নাম এস.আর ফিশিং এবং এফবি মেঘনা-৫ ফিশিং জাহাজের মালিক এম. এ. ওয়াহেদ। অপারেশন কোম্পানির নাম সিঅ্যান্ড এ এগ্রো লিমিটেড।’
তিনি আরও জানান, ‘ঘটনাটি এ রকম না। ভুলে বাংলাদেশী জাহাজ দুটি ভারত সাগরের জলসীমান্তে প্রবেশ করে। পরে ভারতীয় কোস্টগার্ড বাহিনী নিষেধ করায় তাৎক্ষণিক জাহাজ দুটি বাংলাদেশী জলসীমায় ফেরত আসে। কিন্তু তার ঘন্টাখানিক পরে ভারতীয় কোস্টগার্ড বাংলাদেশী জলসীমায় প্রবেশ করে আবারও জাহাজ দুটি আটক করে নিয়ে যায়।’
বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশন কার্যালয়ের অফিস সেক্রেটারি জানান, ‘সম্ভবত উপরের নির্দেশে ভারতীয় কোস্টগার্ড এ কাণ্ডটি ঘটান বলে ধারণা করছেন।’
বিশেষ সুত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে নিয়মিত টহল চলাকালে ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ সরোজিনী নাইডু রাডারে সন্দেহজনক দুটি বিদেশি ফিশিং জাহাজের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। পরে ভারতীয় জলসীমা থেকে শাস্তিপ্রদান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে আবারো আটক করে নিয়ে যান।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এক্স ক্যাডেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি নূর উদ্দিন। তিনি জানান, ‘বাংলাদেশের দুটি বড় মাছ ধরার জাহাজ (লায়লা-২ ও মেঘনা-৫) যাকে বাংলাদেশের সমুদ্রে সীমানা রেখার মধ্যে থেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড।’
এ বিষয়ে এফবি মেঘনা-৫ ফিশিং জাহাজের মালিক এম. এ. ওয়াহেদ কে কল করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। কি করা যায়। তবে এটি সত্য জাহাজ দুটি ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক রয়েছে।