নানা নাটকীয়তার পর ১১০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) তাদের বহনকারী বাসগুলো পশ্চিম তীরের রামাল্লার পশ্চিমে বিতুনিয়ায় পৌঁছেছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসির।
এর আগে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) গাজায় তিনজন ইসরায়েলি এবং পাঁচজন থাই জিম্মিকে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু হস্তান্তর পয়েন্টগুলোর একটিতে বিশৃঙ্খল দৃশ্য সামনে আসার পরে ইসরায়েল থেকে যেসব ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়ার কথা ছিল, দেশটি সেই বন্দিদের মুক্তি বিলম্বিত করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলেছে, আমরা সবেমাত্র নিশ্চিত হয়েছি যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি বিলম্বিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে যে “আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আমাদের জিম্মিদের নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব হবে। ইসরায়েল দাবি করছে যে মধ্যস্থতাকারীদের এটি অর্জন করতে হবে।”
মূলত বৃহস্পতিবার খান ইউনিসে আরবেল ইহুদ (২৯) কে যখন হামাস যোদ্ধারা রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করছিলেন, তখন ওই এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্য তৈরি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত যোদ্ধারা নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে আরবেলকে নিরাপদে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করে। এই বিষয়টিকে ইস্যু তৈরি করে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেরি করতে নির্দেশ দিয়েছে। পরে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করার পর ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দেয় ইসরায়েল।