ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ফিন্যানশিয়াল টাইমসকে গভর্নর

হাসিনা-ঘনিষ্ঠরা ব্যাংকের ১৭ বিলিয়ন ডলার সরিয়েছেন

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা ব্যাংক খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন বা এক হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ সরিয়েছেন। বাংলাদেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থার কিছু সদস্যের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই বিপুল অঙ্কের টাকা তাঁরা সরিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফিন্যানশিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। গভর্নর জানান, ডিজিএফআইয়ের সাবেক কিছু কর্মকর্তা ব্যাংক দখল করতে সহায়তা করেছেন।

এসব ব্যাংক দখল করে আনুমানিক দুই লাখ কোটি টাকা (এক হাজার ৬৭০ কোটি ডলার) বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নতুন শেয়ারধারীদের ঋণ দেওয়া ও আমদানির অতিরিক্ত খরচ দেখানোর মতো পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।

ড. আহসান মনসুর বলেন, ‘যেকোনো বৈশ্বিক মানদণ্ডে এটি সবচেয়ে বড় এবং ব্যাপক ব্যাংক ডাকাতি। এই মাত্রায় ব্যাংক ডাকাতি অন্য কোথাও হয়নি।

এটি ছিল রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট এবং গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে জড়িতরা ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহীদের মাথায় বন্দুক না ঠেকালে এটা হতে পারত না।’

গভর্নর বলেন, ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় কয়েকটি ব্যাংক দখল করার পর ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর সহযোগীরা অন্তত ১০ বিলিয়ন বা এক হাজার কোটি ডলার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে নিয়ে গেছেন। তাঁর মতে, ‘তাঁরা প্রতিদিনই নিজেদের জন্য ঋণ অনুমোদন করেছেন।’

ড. আহসান এইচ মনসুর তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে দখল করা হয়েছিল এমন প্রায় ১২টি ব্যাংকের অবস্থা নিরীক্ষা করার পর বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারের পদক্ষেপ নেবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন দেশে ও দেশের বাইরের আদালতে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করতে চাই।’
গভর্নর ড. মনসুর বলেন, ব্যাংকগুলোর শেয়ার ‘ভালো মানের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের’ কাছে বিক্রি করে সেগুলোকে পুনঃ অর্থায়নের জন্য কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা করেছে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর খারাপ হয়ে পড়া সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও নিষ্পত্তি করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কম্পানি গঠন করারও পরিকল্পনা করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরো বলেন, লোপাট হওয়া ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা দেশ থেকে যে অর্থ দুবাই, সিঙ্গাপুর বা অন্যান্য স্থানে পাচার করে নিজেদের আয়ত্তে রেখেছেন, তা উদ্ধারের চেষ্টায় আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হবে।

ফিন্যানশিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মন্তব্যের জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়।

তাতে তারা সাড়া দেয়নি। আর ডিজিএফআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

 

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print