বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, গণতন্ত্রহীনতার কারনে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতির স্বার্থে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন জরুরী। এটা দীর্ঘায়িত হলে আওয়ামীলীগেরও কোন লাভ হবে না।
তিনি আজ (০৫ মার্চ) রবিবার বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম মুসলিম ইনষ্টিটিউট হলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সদ্য প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা এম. আলাউদ্দিনের শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধা এম. আলাউদ্দিন শোকসভা প্রস্তুতি কমিটির উদ্যেেেগ আয়োজিত সভায় নোমান বলেন, দেশের মানুষ স্বস্তিতে নেই। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা নেই। গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভবিষ্যৎএ মূল্যস্ফীতি আরো চরম আকার ধারন করবে। সরকার নতুন করে বিদ্যুৎ এর মূল্য বৃদ্ধির পায়তারা করছে। সরকারের এই সমস্ত গণবিরোধী সিদ্ধান্তে দেশের মানুষ প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
কেন্দ্রিয় এ বিএনপি নেতা আরো বলেন, “বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে, অন্যথায় নিবন্ধন বাতিল হবে”- আওয়ামীলীগ নেতারা অপকৌশল করে ইদানিং এধরনের মূখরোচক বক্তব্য দিচ্ছেন কিন্তু তাদের এসমস্ত বিভ্্রান্তিকর বক্তব্যকে বিএনপির গুরুত্ব দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। বিএনপি কোন নাম সর্বস্ব দল নয়, বিএনপি বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এই দলের রয়েছে কোটি কোটি সমর্থক এবং ভোটার, তাই নির্বাচন কমিশন এবং সরকার ইচ্ছ করলেই বিএনপির নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে না।
নোমান বলেন, ২০১৪ সালের ০৫ জানুয়ারী নিয়ম রক্ষার কথা বলে শেখ হাসিনা ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছিলেন। বাংলাদেশে এধরনের ভোটারবিহীন দলীয় সরকারের অধীনে কোন ষড়যন্ত্রের নির্বাচন আর হতে পারবে না। বিএনপি সঠিক সময়ে গণজাগরণের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করবে এবং আগামী নির্বাচনকে নিয়ে সরকারের নীল নকশা বুমেরাং হয়ে যাবে।
নোমান বলেন, নেতৃত্বের মূল্যায়ন যদি মৃত্যুর পর হয় তাহলে রাজনৈতিক নেতা এবং সমাজকর্মী সৃষ্টি কমে যাবে। ব্যক্তির পকেট অথবা তোষামোদির মাধ্যমে নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলে সে নেতৃত্ব জনগণের কাছে কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না।
তিনি সদ্য প্রয়াত উত্তর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম. আলাউদ্দিন বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন উল্লেখ্য করে বলেন, মিরসরাই তথা উত্তর চট্টগ্রাম বিএনপিকে সংগঠিত করতে এম. আলাউদ্দিন ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন।
শোকসভা প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক উপাধ্যক্ষ আতিকুল ইসলাম লতিফীর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব কেন্দ্রীয় ছাত্রদলনেতা আমিনুল ইসলাম তৌহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাক্তার শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাক এ.এম. নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, বিএনপি নেতা জাহাংগীর আলম চৌধুরী, এম.এ. সবুর, এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, ডাক্তার খুরশীদ জামিল চৌধুরী, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, কাজী বেলাল, মোহাম্মদ আলী, ইউনুস চৌধুরী, এম.এ. হাশেম রাজু, জসীম উদ্দিন চৌধুরী, মনিরুল ইসলাম ইউসুফ, হাজী কাশেম, তোফাজ্জল হোসেন, গাজী সিরাজউল্লাহ, হাসান জসীম, জেলী চৌধুরী, রোটারিয়ান জসীম উদ্দিন, খন্দকার নুরুল ইসলাম, ডাক্তার সরোয়ার আলম, এম.আর. চৌধুরী মিল্টন, কে.আলম, শহিদুল আলম, শেখ রাসেল, যায়েদ বিন রশীদ, জমীর উদ্দিন নাহিদ, তানিমুল হক, আবদুল্লাহ আল নোমান, শওকত আকবর সোহাগ, তাজ উদ্দিন, নুরুল হুদা, শফি চৌধুরী প্রমুখ।
