
চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার মাদ্রাসায় নিষ্ফল অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। দুই ঘন্টাব্যাপী তল্লাশী শেষে কোন কিছু না পেয়ে কাউকে আটক না করেই চলে গেছে পুলিশ।
পুলিশ বলেছে দেশব্যাপী চলমান জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে লালখান বাজার পাহাড়ী এলাকায় অবস্থিত হেফাজত নেতা মুফতি ইজাহারুল ইসলামের মালিকানাধীন লালখান বাজার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় (লালখান বাজার মাদরাসা নামে পরিচিত) তল্লাশি চালানো হয় আজ শনিবার বিকাল ৪টা থেকে।
এ ব্যপারে খুলশী থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন পাঠক ডট নিউজকে বলেন, আমরা কোন ধরণের আগাম তথ্য পেয়ে অভিযান চালাইনি। মূলত দেশব্যাপী চলমান জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়েছে। তবে মাদ্রাসা থেকে তেমন কোন আপত্তিকর কিছু উদ্ধার করা হয়নি। কাউকে আটকও করা হয়নি।

ওসি জানান, অভিযানে সিএমপি এবং থানা পুলিশের দেড়শ পুলিশ অংশ নেয়। শুধু ইজাহার সাহেবের মাদ্রাসা নয় অভিযান চালানো হয়েছে লালখান বাজার ঢেবার পাড়, পোড়া কলোনীসহ আরো কয়েকটি এলাকায়।
উল্লেখ্য শনিবার বিকাল ৪টা থেকে সিএমপি পুলিশের একটি টিম লালখান বাজার মাদ্রাসা ঘেরাও করে মাদ্রসার প্রতিটি কক্ষ, ছাত্রাবাস তন্ন তন্ন করে তল্লাশী চালায়।
এসময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আবদুল ওয়ারিশ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘চলমান ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নগরীর লালখান বাজারের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে লালখান বাজার মাদ্রাসায় অভিযান চালাচ্ছি।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালের অক্টোবরে এই মাদ্রাসায় রহস্যজনক বোমা বিস্ফোরণে তিন ছাত্র নিহত হয়। পরে সেখান থেকে বিপুল গ্রেনেড উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে এ ঘটনায় বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী ও তার ছেলে হারুণ ইজহারকে আসামী করে মামলা হয়। এবং তাদের গ্রেফতার করা হয়।