
বায়তুশ শরফ মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশের মহাসচিব প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন আল্লামা মামুনুর রশীদ নূরী বলেছেন, মিরাজ রাসুলে করীম (স;) এর নবুওয়াতী জীবনের একটি অন্যতম মুজিযা। ইসলামী সভ্যতা-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং ভগ্ন হৃদয়ে শান্তনা পেতে আরশে আজীমে ভ্রমনের একরাজকীয় ব্যবস্থা। সেটা তাঁরই জন্য নির্ধারিত ছিল। যিনি এ সবের জন্য পৃথিবীতে রহমত রূপে প্রেরিত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, একজন প্রকৃত মুমিনের পরিচয় হচ্ছে বিনা বাক্যে ও বিনা প্রশ্নে মিনাজের ঘটনার উপর পূর্ণ ইমান রাখা। কারণ এই মিরাজের উদ্দেশ্য ছিল উম্মতে মুহাম্মদির জন্য উন্নত জাতি গঠনের লক্ষ্যে আল্লাহর পক্ষ হতে একটি সোনালী সমাজ উপহার দেয়া।
মাওলানা নূরী রবিবার রাতে চট্টগ্রামের কালরঘাটস্থ ইকরা ইসলামী পাঠাগারের উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল মিরাজুন্নবঅ (স:) মাহফিলে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে একথা বলেন।
পাঠাগারের সভাপতি আলহাজ্ব ফয়সাল বিন মাহমুদের সভাপতিত্বে ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত মাহফিলে তিনি আরো বলেন, রাসুলের (স:) মেরাজকে আধুনিক বস্তুবাদী মানুষেরা তাদের জ্ঞান সীমাবদ্ধতার কারণে সপ্নীক ও কাল্পনিক বলে মন্তব্য করলেও কোরআন হাদিসের অকাট্য দলিলে প্রমাণিত যে, রাসুলে করীম (স;) এর মিরাজ হয়েছিল দৈহিক এবং জাগ্রত অবস্থায়।
প্রধান মেহমান আরো বলেন, মেরাজের মাধ্যমে আল্লাহ তালা পৃথিবীতে মানব জাতির মুক্তির জন্য একটি কল্যাণময় আদর্শ রাষ্ট্র ব্যবস্থার যে রূপরেখা দিয়েছেন তা আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগেও সকল মহলে ঐতিহাসিক রূপরেখা হিসেবে প্রসংশিত হয়েছে এবং স্বীকৃতি লাভ করেছে। মাওলানা নূরী আজ ঝঞ্ঝা ভিক্ষুদ্ধ পৃথিবীতে আন্তজার্তিক সমস্যা সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের নগ্ন থাবায় পর্যুদস্ত বিপন্ন মানবতার মুক্তির জন্য আল্লাহ প্রদত্ত মিরাজের ১৪দফা মুলনীতি সমাজ ও রাষ্ট্রে বাস্তবায়ন ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই বলে মন্তব্য করেন।
পাঠাগার সেক্রেটারী সৈয়দ নূর হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা শাহ সুফী হারুনুর রশীদ, মুফতি মাওলানা আলমগীর হোসাইন, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, ডা: রুকন উদ্দিন, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিসবাজ, ইঞ্জিনিয়ার নুরুল হক, মাওানা হাফিজ সিদ্দিক আহমদ প্রমুখ।