
চট্টগ্রাম আদালত এলাকার আইনজীবি ভবনে কর্মরত মঈন উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে মোটা অংকের ঘুষ দাবী এবং নির্যাতনের অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক পরিদর্শকসহ (ডিবি ইন্সপেক্টর) ৮ ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে ভিকটিম মঈন উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ২ এর আদালতের বিচারক আবু সালেহ মো. নোমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

তিনি মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঠক ডট নিউজকে বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)’র এসপি পদ মর্যদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক কেশব চক্রবর্তি, এস আই মো. সেকান্দর আলী, এস আই মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. আজহারুল ইসলাম-এ এস আই-৩৬৯২, আব্দুল ওয়াদূদ-এ এস আই-১০৮০, কনেস্টেবল আরমান হোসেন, ক. নং-২৬৯৮, মো. খোরশেদ আলম, ক. নং-৩৩৫৫, মো উকিল আহমেদ, ক. নং-১৫৩৯।
আদালতে দায়ের করা আর্জিতে বাদী মঈন উদ্দিন জানান, ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর আসামীরা তার কর্মস্থল কোর্ট বিল্ডিংস্থ আইনজীবি ভবন-১ এর ৬১ নং কম্পিউটার কম্পোজ দোকানে এসে নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতির অবতারণা করে অামাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে সিএমপির ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখে।
সেখানে তারা আমার কাছে আমাকে ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি তা দিতে অস্বিকার করায় আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিবে বলেই মারধর এবং কিল ঘুষি মারতে থাকে। তারা আমার মোবাইল ফোন পকেটে থাকা মানি ব্যাগ থেকে ৩ হাজার ৯০ টাকা নিয়ে নেয়। পরদিন আমাকে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে চালান করে।
বাদী তার অভিযোগে আরো জানান, তার গ্রামের বাড়ি রাউজানের ১৪ নং বাগোয়ান ইউনিয়নের গশ্চি ৩ নং ওয়ার্ডে। সেখানে পারিবারিক ভাবে কিছু বিষয় সম্পত্তি নিয়ে নিকট আত্মীয়দের সাথে পূর্ব থেকে বিরোধ এবং মামলা পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়। মূলত তাদের যোগসাজসে আমাকে ফাঁসানোর জন্য ডিবি পুলিশকে দিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
ডিবির মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পর চলতি বছরের ১৬ মার্চ বাদী জামিন লাভ করে কারাগার থেকে বের হন। এবং ন্যায় বিচার পেতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন বলে আদালেতকে জানান।