
অবশেষে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করলেও পাশাপাশি থাকছে শংকা। কয়েকটি ইউনিয়নে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন স্থানীরা।
অধিকাংশ ভোটারদের মতে এ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে প্রার্থীদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। বিশেষ করে দলীয় নির্বাচন হওয়ায় এক ইউনিয়নে আ’লীগের একাধিক প্রার্থী অংশগ্রহণ করায় এই হামলা ও সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে অপর রাজনৈতিক দল বিএনপির প্রায় স্থানে একক প্রার্থী থাকায় তাদের অবস্থান অনেকাংশে সুবিধাজনক রয়েছে। এর মধ্যে জামায়াত ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাও তাদের বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে বিরতিহীনভাবে।
এদিকে ইতিমধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে পুরো উপজেলায় বিজিবি ও পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোন মুহূর্তে সংঘর্ষ এড়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানান, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন।
তাছাড়া ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলেও জানান।
গত শনিবার থেকে বিজিবি টহল শুরু হলেও নির্বাচনে দুই হাজার পুলিশ, দুই শতাধিক আনসার ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে ভোট গ্রহণের সব প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে বলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। তিনি জানান, আজ সকাল থেকে ব্যালট পেপার, ব্যালট বক্স, কালিসহ ভোট গ্রহণের সকল সরঞ্জামাধি সকল কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।।
এদিকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণে প্রশাসনের অঙ্গিকার হলেও বিচ্ছিন্ন ঘটনার আশংকায় রয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। ইতিমধ্যে পুকুরিয়া ইউনিয়নে আ’লীগের দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও যেসব ইউনিয়নে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে সেগুলো হল- পুঁইছড়ি, শেখেরখীল, ছনুয়া, চাম্বল, গন্ডামারা, সরল, কাথারিয়া, বৈলছড়ি, কালীপুর, বাহারছড়া, খানখানাবাদ ও সাধনপুরের কিছু অংশে। এ নিয়ে বর্তমানে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার পাশাপাশি উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠারও কমতি নেই।