
বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা হাইকোর্ট বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সেক্রেটারী খন্দকার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন- বাংলাদেশ সংবিধানের আর্টিক্যাল-৭ এ বলা হয়েছে জনগণকে শাসন করতে হলে জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে। বর্তমান সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নেওয়ার প্রয়োজনও মনে করছে না।
তিনি আজ রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জি: আবদুল খালেক মিলনায়তনে চট্টগ্রামস্থ বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত বিএনপি’র সহ-সভাপতি সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলুর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
খন্দকার মাহবুব বলেন-এক সময় আওয়ামী লীগ স্লোগান দিতো-আমার ভোট আমি দিবো, যাকে খুশি তাকে দিবো। বর্তমানের স্লোগান পাল্টেছে আওয়ামী লীগ এখন স্লোগান দিচ্ছে আমার ভোট আমি দিবো, সবার ভোটও আমি দিবো।
তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে। এটা জেনেই আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে গড়িমসি করছে।
আগামী ১৮ সাল হবে আওয়ামী লীগের পতনের বছর উল্লেখ্য করে কেন্দ্রিয় বিএনপির এ নেতা বলেন- সরকার বেসামাল হয়েছে। মানসিকভাবে সরকার দুর্বল হয়ে পড়েছে। জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারকে চাই না। জরিপ চলালে দেখা যাবে সরকারকে সমর্থন করে এরকম লোক সংখ্যায় নগণ্য। সরকার জনগণের আস্থা হারিয়েছে। আগামীতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে চট্টগ্রামে নৌকা কর্ণফুলীতে ডুবে যাবে।
চট্টগ্রামস্থ বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি খন্দকার নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি’র বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান।
প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক দল নেতা কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার, বিএনপি নেতা হারুন জামান, যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি (নগর), কাজী সালাউদ্দিন (উত্তর), যুবদল নেতা ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, বিএনপি নেতা আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু।
প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দিন রাজু ও জমির উদ্দিন নাহিদের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এড. মফিজ উল্লাহ, আলাউদ্দিন আলী নূর, এস এম মফিজ উল্লাহ, সাইফুর রহমান শওকত, সেকান্দর কমিশনার, নুরুল আবছার তৌহিদ, আবুল মনসুর রুবেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, ইদ্রিস আলী, আবদুল বাতেন, হাজী মো: সেলিম, এম এ হাশেম, হারুন অর রশিদ, আবু মুসা, রাসেল নিজামী, গাজী সাইফুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন প্রমুখ।