
সরকারী বিভিন্ন সংস্থায় ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা সরকার বিরোধী ক্রীড়নকদের ভূমিকাই মহেশখালের বাঁধ অপসারণের প্রধান অন্তরায় উল্লেখ্য করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, বারবার আশ্বাস প্রদান করেও মহেশখালের উপর পরিবেশ বিধ্বংসী বাঁধ অপসারণে দীর্ঘসূত্রিতা জনমনে গভীর ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি করছে।
মহেশখাল উপর অপরিকল্পিত বাঁধের কারণেই গতকাল রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির পানি নামতে না পেরে জলবাদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে জনাব সুজন বলেন, গত ২ বছর আগে মহেশখালের উপর বাঁধ দেওয়ার শুরুতেই আমরা এর কুফল সম্পর্কে অবগত হয়ে এর বিরোধিতা করেছিলাম কারণ এ বাঁধের ফলে বৃষ্টির সময় উজানের অধিবাসীগণ এবং জোয়ারের সময় ভাটির অধিবাসীগণ পানিবন্দি হয়ে দূর্ভোগে পড়বে। কিন্তু জনগনের মতামত উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ গোয়ার্তুমি করে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা অপচয় করে উল্লেখ্য বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ফলতঃ জোয়ার ভাটার স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়ে এককালের স্রোতস্বিনী মহেশখাল আজ পলি জমে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এমনকি মহেশখালের অনেক অংশে হেটে পার হয়ে যাওয়া যাবে।

তিনি সোমবার সন্ধ্যায় পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গমনের প্রাক্কালে গনমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বক্তব্য জানান।
সুজন বলেন, গত কিছুদিন পূর্বে ঘূর্নিঝড় মোরা পরবর্তী বৃষ্টিতে আগ্রাবাদ এবং হালিশহর এলাকার লাখো লাখো মানুষ দূর্ভোগে পড়ায় মহেশখালের উপর স্থাপিত বাঁধ অপসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু অদ্যবধি বাঁধ অপসারণের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গতকালের বৃষ্টিতে আবারো আগ্রাবাদ হালিশহর এলাকার লাখো লাখো মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। নতুন নতুন এলাকা বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এহেন পরিস্থিতিতে সরকারী বিভিন্ন সংস্থায় ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা সরকার বিরোধী ক্রীড়নকদের ভূমিকাই মহেশখালের বাঁধ অপসারণের প্রধাণ অন্তরায় বলে তিনি দাবী করেন। পরিকল্পিতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের জনপ্রিয়তা হ্রাস করা এবং জনমনে বিক্ষোভ সৃষ্টি করাই যাদের মূল লক্ষ্য। তাই অনতিবিলম্বে সরকারী বিভিন্ন সংস্থায় ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা সরকার বিরোধী চক্রদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদাণের জন্য তিনি প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান।
এর আগে তিনি গতকাল মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত তিন ভাইয়ের লাশ দেখতে মাদারবাড়ীস্থ তাদের বাসভবনে যান। তিনি সেখানে নিহত তিন ভাইয়ের শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্তনা জানান এবং কিছু সময় ব্যয় করেন। পরে জনাব সুজন মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করেন। এ সময় নগর এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।