ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

নারী চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করে চমেক-এ ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল (ভিডিও)

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে একজন শিক্ষানবীশ নারী চিকিৎসককে শাররীকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগে রাউজান উপজেলা চেয়ারম্য্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুলকে দুইঘন্টা আটক করে নাজেহাল করেছে সরকার সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপ বিএমএ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা। শনিবার রাতে চমেক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ক্ষমা চেয়ে সাদা কাগজে মুচলিকা দিয়ে রক্ষা পান তিনি।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল হাসপাতলে রোগী দেখতে এসে একজন নারী ইর্ন্টানী চিকিৎসকের সাখে খারাপ আচরণ করেন। তাকে শারিরীক নির্যাতন করেন। তার চিৎকারে ডাক্তার, নার্স, কর্মচারীরা ছুটে গিয়ে চেয়ারম্যানকে আটক করে। পরে ডাক্তার, কর্তৃপক্ষ বিএমএ, স্বাচিপ যৌথ ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়ে মুসলিকা দেয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পাঠক ডট নিউজকে জানান ইফতারের পরপরই চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে এক রোগী দেখতে আসেন  উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল। এসময় তিনি সেখানে শোর চিৎকার শুরু করেন। সেখানে দায়িত্বরত ইন্টার্ন নারী চিকিৎসকে তিনি গালাগাল করেন। তিনি প্রতিবাদ করলে  চিকিৎসককে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেন। পরে ওই নারী চিকিৎসকের চিৎকারে অন্য ইন্টার্ন চিকিৎসক ঘটনাস্থলে এসে চেয়ারম্যান বাবুলকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

এদিকে অভিযুক্ত রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল সাংবাদিকদের জানান, তিনি এক রোগী নিয়ে হাসপাতালে আসেন। এ সময় কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হন। পরে ইন্টার্ন চিকিৎকরা তাকে অপদস্ত করেন।

সাদা কাগজে মুচলিকা দিচ্ছেন বাবুল।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কর্মী ইর্ন্টানী চিকিৎসক রাকিব উদ্দিন তার ফেসবুক ওয়ালে লেখেন-“আজ শনিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে এক পরিচিত রোগীকে দেখতে যান রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যন ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল ওরফে ঘি বাবুল। এ সময় তিনি একজন নারী ইন্টার্ন ডাক্তারের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। তাকে মারধর করেন। বিষয়টি জানতে পেরে অন্যান্য ডাক্তাররা দ্রুত এসে বাবুলকে আটক করেন। তাকে সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত আটক করে রাখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডাক্তাররা। অবশেষে বিএমএ সভাপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে লিখিত মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান আওয়ামীলীগ নেতা বাবুল। আওয়ামী নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন ডাক্তারদের অভিনন্দন।”

 

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print