
ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে গরুর মাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রামগড় জেলার বজরতণ্ড গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (৩০ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে।
গো-রক্ষার নামে মানুষ হত্যা মেনে নেওয়া যায় না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমন ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটল। এ সময় ওই ব্যক্তির মাইক্রোবাসটিও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিহতের নাম আসগার আলি ওরফে আলিমুদ্দিন (৪০)। তিনি নয়াসরাই ব্লকের মনুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
খবরে বলা হয়, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আলিমুদ্দিন রামগড়ের চিতরপুর বাজার থেকে মাংস কিনে গ্রামে ফিরছিলেন। শহরের মধ্যেই বাজারটাড় নামে একটি জায়গায় গাড়িটিকে দাঁড় করায় কয়েকজন যুবক। গাড়িতে গো-মাংস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে তারা আলিমুদ্দিনকে মারতে থাকে।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘গাড়িটাকে ঘিরে ভীড় জমতে দেখে দাঁড়িয়ে যাই। উত্তেজিত কিছু লোক বেধড়ক কিল-ঘুষি মারছিল লোকটিকে।’
স্থানীয় দোকানদাররা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা দেখেন কয়েকটা লোক লাঠি হাতে গাড়িটি ভাঙতে শুরু করেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি হাতজোড় করে কিছু বলার চেষ্টা করছিলেন। কর্ণপাত না করে কয়েক জন লোক গাড়ির ভিতর থেকে মাংস বের করে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, ‘আমরা থামাতে গেলে হামলাকারীরা আমাদের দিকেই তেড়ে আসে। আমরা ভয়ে পালিয়ে আসি। পুলিশকে খবর দিই।’
পুলিশ আসার আগেই হামলাকারীরা গাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। জ্বলন্ত গাড়ির কাছেই রাস্তায় পড়ে ছিলেন আলিমুদ্দিন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
হাজারিবাগের ডিআইজি ভীমসেন টুটি জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে তারা কিছু ছবি ও ভিডিও ফুটেজ জোগাড় করেছেন। অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।