
ভারতীয় সেনারা মহিলাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। তারা জম্মু-কাশ্মিরের মতো প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতেও মহিলাদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে। তাই মহিলারা বাধ্য হয়েই সেনা ধর্ষকদের যৌনাঙ্গ কেটে নিচ্ছেন। কাশ্মির, ঝাড়খণ্ড, আসাম- সব জায়গায় নারীরা সেনাদের পেটাচ্ছেন। আর এটা এমন একটা বার্তা যার জন্য হিন্দুস্থানের লজ্জিত হওয়া উচিত।
গত ২৭ জুন ভারতের সেনাবাহিনীকে নিয়ে এমনই আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন সমাজবাদী পার্টির সদা বিতর্কিত নেতা আজম খান। রামপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক আজম খান এই মন্তব্য করেন। তার এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। গোটা দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। এমনকি, সেনাবাহিনীর তরফেও প্রতিবাদ জানানো হয়।
এ ঘটনায় আজম খানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুধু দেশদ্রোহের মামলা নয়, একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। লখনউয়ের একাধিক পুলিশ স্টেশনে এসব মামলা হয়েছে।
এদিকে, কেউ আজম খানের জিহ্বা কেটে দিতে পারলে তাকে ৫০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) নেতা রাজেশ কুমার আওয়াস্থি। সাংবাদিকদের সামনে রাজেশ কুমার ঘোষণা দেন, যে ব্যক্তি আজম খানের জিহ্বা কেটে আনতে পারবে তাকে অবিলম্বে পুরস্কৃত করা হবে।
অন্যদিকে, কালেক্টরেটের সামনে আজম খানের কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা। এসময় তারা সাবেক প্রতিমন্ত্রী আজম খানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। রাজেশ কুমার বলেন, সেনাবাহিনীকে নিয়ে লজ্জাজনক মন্তব্য করেছেন আজম খান। এ জন্য তার লজ্জিত হওয়া উচিত। তাকে অবিলম্বে ভারত ছেড়ে যেতে বলা উচিত। এখানে বসবাস করার অধিকার তার নেই।