
ফেনীতে চাঞ্চল্যকর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরাম হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি রুটি সোহেল র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। রবিবার দিনগত রাতে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় র্যাব একটি বিদেশী পিস্তল, একটি বিদেশী রিভলভার ও গুলি উদ্ধার করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের মিডিয়া অফিসার আমিরুল্লা জানান, রাতে গোপন খবরের ভিক্তিতে র্যাবের একটি টিম ফেনী সদরের বিরিঞ্চি শামছুল হক চেয়ারম্যান বাড়ির পাশে অভিযান চালায়।
এসময় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে শীষ সন্ত্রাসী রুটি সোহেল গ্রুপের সন্ত্রাসীরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে দুপক্ষের বন্দুক যুদ্ধে রুটি সোহেল নিহত হয়। নিহত সোহেল একাধিক মামলার আসামি।

র্যাব জানায়, নিহত রুটি সোহেল ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যান একরাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাসহ ডজন খানেক মামলা রয়েছে। সে সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনার ঘটিয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এঘটনায় ফেনী মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
উল্লেখ্য- ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে চেয়ারম্যান একরামুল হককে কুপিয়ে, গুলি করে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান একরামুল হকের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীসহ অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।