
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল ছলিমপুর এলাকায় পাহাড়ধসে ধসে পড়ে একই পরিবারের ৩ শিশুসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার ভোর রাত পৌনে ৪ টার দিকে জঙ্গল ছলিমপুরের ছিন্নমূল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমূল ইসলাম ভূঁইয়া এ খবর নিশ্চিত করেছেন। টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড়ে মাটি নরম হয়ে এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, পাহাড় ধসে পড়ে শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে এখনও নাম পরিচয় বিস্তারিত তিথ্য পায়নি।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে জঙ্গল ছলিমপুরের পাহাড়ের ঢালুতে বেড়া ও টিনের ছাউনী দিয়ে ঘর বানিয়ে বসবাসকারী জনৈক রফিকুলের বসত ঘরের উপর রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে পাহাড়ের একাংশ ধসে পড়ে।
এতে মোহাম্মদ রফিক উদ্দিনের স্ত্রী বিবি ফাতেমা (৩৫) ও ছেলে ইউনুছ (১০)। রফিকুলের বোন একই এলাকার জহির উদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (২৫), তার শিশুকন্যা লামিয়া আক্তার (৭) ও সামিয়া আক্তার (২)। আহতবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে পরিবারে ৪ জনকে।

ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি ডাইরেক্টর আব্দুস সাত্তার মণ্ডল পাঠক ডট নিউজকে জানান, পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে মালামাল উদ্ধার কাজ চলছে। নারী শিশুসহ ৫ জন মৃত্যু গয়েছে বলে জানতে পেরেছি। উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে, সীতকুণ্ড আগ্রাবাদ, কুমিরা, ও বায়োজিদ স্টেশনের আমাদের ৬টি গাড়ি।
উল্লেখ্য গত দুইদিন ধরে চট্টগ্রামে মাঝারী থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের সব উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত সীতাকুণ্ডে রেকর্ড করা হয় বলে আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানান।
পতেঙ্গার আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে সীতাকুণ্ডে ৩৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়, যা সারাদেশে সর্বোচ্চ। এদিকে একই চট্টগ্রাম নগরীতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৭৮ মিলিমিটার।
সীতাকুণ্ডের বাসিন্দারাও বলছেন, গত কয়েক বছরে এত বেশি বৃষ্টিপাত তারা কখনও দেখেননি। প্রবল বৃষ্টিতে সীতাকুণ্ড পৌরসভাসহ আশে পাশের কয়েকটি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে যায়।

এদিকে রাতে পাহাড় ধসে পড়ার পর সকালে জঙ্গল ছলিমপুরের ঝুঁকিপূর্ণ বসতবাড়িগুলো থেকে বসবাসকারী লোকজনকে সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা।