
দুর্নীতির দায়ে ৫ মামলায় রেলের পূর্বাঞ্চলের সাবেক (বরখাস্ত) জিএম ইউসুফ আলী মৃধার জামিন বাতিল করে দিয়েছে আদালত। জামিননামা জমা না দেওয়ায় চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মীর রুহুল আমিন এ আদেশ দেন।
গত ২০ জুলাই চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে নিয়োগে দুর্নীতির পাঁচ মামলায় জামিন পান মৃধা।
এদিকে মঙ্গলবার আরো ছয়টি মামলায় ইউসুফ আলী মৃধার জামিন আবেদন করা হলেও তা নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
এ প্রসঙ্গে দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, জামিন আদেশ হলেও ওইদিন জামিননামা জমা না দেওয়ায় পাঁচ মামলাতেই মৃধার জামিন বাতিলের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
পূর্ব রেলের কার্পেন্টার, সিনিয়র ডাটাএন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর, ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস, রেকর্ড কিপার ও শরীর চর্চা শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নিতীর অভিযোগে কারাগারে রয়েছেন রেলে সাবেক এ শীর্ষ কর্মকর্তা।
আদালত সুত্রে জানাগেছে, মৃধার জামিনের আবেদন বাতিল হলেও একই মামলায় রেলে অপর দুই কর্মকর্তা। তারা হলেন-রেলের সাবেক সিনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার গোলাম কিবরিয়া এবং সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান চৌধুরী জামিন।
আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, ছয়টি মামলায় ইউসুফ আলী মৃধার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলে আদালত শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করেন। এরমধ্যে টুল কিপার, টিকেট ইস্যুয়ার ও ট্রেন নম্বর টেকার পদের তিন মামলায় গোলাম কিবরিয়া ও হাফিজুর রহমান জামিন পেয়েছেন।
গত বছরের ৩ অগাস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার আদালতে মৃধার তিন বছরের সাজা হয়।
উল্লেখ্য ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল রাতে ঢাকার বিজিবি সদর দপ্তরে তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারকে বহনকারী গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক তোলাপাড় শুরু হলে সেই গাড়িতে থাকা মৃধাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মন্ত্রীর ওই গাড়ীতে ৭০ লাখ টাকা ছিল- যা আদায় করা হয় রেলের ‘নিয়োগ বাণিজ্যের’ মাধ্যমে। এ ঘটনার পর থেকে (২০১০ থেকে ২০১২ সালে) পর্যন্ত রেলের বিভিন্ন পদে নিয়োগ অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় মৃধার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা করে দুদক। ২০১৪ সালের ৩ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ইউসুফ আলী মৃধাকে কারাগারে পাঠানো হয়।