
কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হয় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল। গতকাল থেকে তেমন বৃষ্টিপাত না হলেও জোয়ারের পানিতে এখনো ডুবে আছে কয়েকটি এলাকা। টানা বর্ষণের কারণে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে নগরীর অধিকাংশ রাস্তাঘাট। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যানবাহন চালক ও যাত্রী সাধারণ।
এদিকে ভাঙা রাস্তার কারণে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে কয়েকটি রুটের গণপরিবহন। নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, নগরীর বহদ্দারহাট, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, ২ নং গেইট, মুরাদপুর, জিইসি মোড়সহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে বড়বড় গর্ত। বহদ্দারহাট থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা পর্যন্ত কমসংখ্যক যানবাহন চলেছে। তবে যাত্রীদের নির্ধারণ করে দেয় ওঠানামা ভাড়া ১০ টাকা। অর্থাৎ ৫ টাকার জায়গায় দিতে হচ্ছে ১০ টাকা। যদিও এই সড়কে তখন জলাবদ্ধতা ছিল না। ভাঙা রাস্তার কারণে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকেরা।

পুরাতন চান্দগাঁও সড়কে হাজী নুরুল ইসলাম মঞ্জিলের সামনে একটি মালভর্তি ট্রাক রাস্তার মাঝখানে উল্টে গেছে। এতে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
নগরীর জিইসি মোড়ের সিএনজি চালক আলাউদ্দিন বলেন, নগরীর সব রাস্তাই ছোটবড় গর্তে ভরপুর। গাড়ি চালাতে কষ্ট হয় আবার নষ্ট হওয়ারও আশংকা আছে। তাই একটু বাড়তি ভাড়া নিই।
এরআগে গতমাসে টানা বর্ষণে নগরীর ৩০ শতাংশ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যার ক্ষতি পরিমাণ প্রায় ৫ শত কোটি টাকা। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আগে আবারো টানা বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হলো নগরীর রাস্তাঘাট।

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, বৃষ্টির কারণে অনেক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি নেমে গেলে আমরা সড়ক মেরামতের কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে অনেক সড়কে সংস্কার কাজ শুরু
হয়েছে।