
চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে দু’দিনব্যাপী ভারতীয় শিক্ষামেলা। আগামীকাল সোমবার (৩১ জুলাই) নগরীর হোটেল আগ্রাবাদে সকাল সাড়ে দশটায় এ মেলার উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার সোমনাথ হালদার।
চট্টগ্রামে ৪র্থ বারের মতো এই শিক্ষামেলার আয়োজন করছে সেপ ইভেন্ট এন্ড মিডিয়া।
মেলায় ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের শীর্ষ স্থানীয় ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়) অংশ নিচ্ছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত প্রতিনিধি ও বাংলাদেশের এজেন্টরা ৩০টি স্টলে ভারতের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষাগ্রহণ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য জানাবেন আগ্রহী শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের।
এ মেলা মঙ্গলবার (১ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত। রয়েছে স্পট এডমিশনের সুযোগও। স্পট এডমিশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ছাড়ের সুযোগও রয়েছে বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
মেলার আয়োজক সেপ ইভেন্ট এন্ড মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্জয় থাপা জানান, উন্নত যে কোনো দেশের চেয়ে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এখন উন্নত শিক্ষা পাওয়া যায়। ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশীপ অফার রয়েছে।
তিনি জানান, ‘ভারতে শুধুমাত্র গুণগত সর্বোচ্চ শিক্ষাদানই নয়- যে কোন দেশের চেয়ে অল্পখরচে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবন গড়ে দেয়। বিদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ দেশের শিক্ষার ব্যয়ভার থেকে অল্প খরচে পড়াশোনা শেষ করতে পারবেন। তদুপরি ভারতে একদম সেশনজট নেই। জোর দিয়েই জানালেন সঞ্জয় থাপা।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থী তথা ছাত্র সমাজের দোরগোড়ায় পছন্দসই ও কাঙিক্ষত উচ্চ শিক্ষার সহজ প্রবেশাধিকার সুবিধা দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে এবার ‘ইন্ডিয়া এডুকেশন ফেয়ার-২০১৭ চট্টগ্রাম ’আয়োজন করা হয়েছে।
থাপা বলেন, অতীতের মত ক্যারিয়ার বলতে ছাত্র-ছাত্রীরা শুধু চিকিৎসা ও প্রকৌশল পেশাকে বোঝে না। এখন কর্মক্ষেত্রের নানা দিক উন্মুক্ত হয়েছে। তাই বর্তমানের বিশেষায়িত অঙ্গনের বৈচিত্রতার দিকে লক্ষ্য রেখে সেপ পর্যাপ্ত ক্যারিয়ার সুবিধা হাজির করছে।তাঁর মতে, চট্টগ্রামে এ মেলার ইভেন্টটি বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে এমন একটি সুযোগ উপস্থাপন করেছে যাতে করে তারা ক্রমবিন্যস্তভাবে শিক্ষায়তন থেকে পেশাগত এবং বৃত্তিমূলক কোর্সসমূহ বেছে নিতে পারবে।