
সীতাকুণ্ড ( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
জেলার সীতাকুণ্ডের জোড়া আমতল ছড়ারকুল এলাকার আরিফ করিমউল্লাহ ফকির বাড়ীতে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা জানালার গ্রীল ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে, ঘরের শিশুসহ ৮ সদস্যকে অজ্ঞান করে আলমারীর তালা ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ স্বর্ণ অলংকার নিয়ে যায়।
শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের ৮ জনের মধ্যে ৪ জন শিশু রয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বাড়ীর ওই বিল্ডিং এ কোন পুরুষ সদস্য নাই, সবাই প্রবাসী। গতরাতের কোন এক সময় ডাকাতরা বাড়িটিতে হানা দেয়। ঘরের ৮ সদস্য রাতের খাবার খাওয়ার পর সবার ঝিমুনি ধরে এবং একে একে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ডাকাতরা জানালার গ্রীল ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে।
অচেতন হয়ে পড়া সদস্যরা হলেন- হালিমা খাতুন (৫৫), শাহানারা বেগম (৩০), শামিমা আক্তার (২২), তাসলিমা আক্তার (২৩), রিদুয়ান (১১),মাইমুন (৩),আরিয়ান(১) এবং মিম (২)। তবে ডাকাতির সময় অন্যরা সবাই অজ্ঞান হয়ে পড়লেও ১১ বছর বয়সী রিদুয়ান জেগে ছিল, সে জানায় রাতে মুখ বাধাঁ অবস্থায় ছুরি হতে একলোক ঘরে ডুকে আমাকে চিৎকার না করতে বলে শুয়ে যেতে বলে, আমি তখন ভয় পেয়ে শুয়ে পড়ি, এরপর আর কিছু বলতে পারি না।

আজ দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শামিমা আক্তারের জ্ঞান ফিরলে সে জানায়, রাতে বাসার সবাই ভাত খাওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়ি, এরপর আর কিছু বলতে পারি না। সরেজমিনে উক্ত বাড়িতে গেলে পাশের বাড়ির লোকজন জানান, সকালে স্কুলে যাওয়ার গাড়ি এসে ডাকাডাকি করলে কারো সারা শব্দ না পেয়ে আমরা ঘরে ডুকে দেখি সবাই অচেতন হয়ে পড়ে আছে, ঘরের জিনিসপত্র সব এলোমেলো, আলমারীর দরজা খোলা, সেখান থেকে টাকা-পয়সাসহ স্বর্ণ অলংকার নিয়ে গেছে।
পরে এলাকাবাসী সবাইকে উদ্ধার করে ভাটিয়ারী বিএসবিএ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী আরো জানান, রাতে ডাকাতরা কিভাবে ডাকাতি করেছে, কিভাবে সবাইকে অজ্ঞান করেছে তা বুঝা যাচ্ছেনা, তবে কেউ কেউ ধারণা করছেন, তাদের নিকট কোন আত্নীয় হয়তো আগের থেকে খাবার কিছু মিক্স করেছে, অথবা ডাকাতরা কোন ধরণের স্পে’র ধারা অজ্ঞান করেছে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার এস আই ইকবাল ঘটনাস্থ ও হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে জানান, কিভাবে তারা অজ্ঞান হলো অথবা ডাকাতরা কিভাবে ডাকাতি করেছে তা এখনো বুঝা যাচ্ছেনা, আরো তদন্তের পর বিস্তারিত জানতে পারবো। ঘরের সবাই হাসপাতালে থাকায় ডাকাতরা কত ভরি স্বর্ণ বা কত টাকা-পয়সা নিয়েছে তা কেউ জানাতে পারেনি।
বিএসবি হাসপাতালের ডাক্তার তানজিনা আরেফিন বলেন, শিশুসহ ৮ জনের মধ্যে দুইজনের জ্ঞান ফিরেনি তবে সবাই মোটামুটি ভালো আছে। তারা শঙ্কামুক্ত।